স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার দেশে অনেক উন্নয়ন করছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলো সেই উন্নয়ন চোখে দেখে না। তাদের কমিউনিটি ভিশন সেন্টার অথবা চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এনে চক্ষু পরীক্ষা করে ছানি দূর করতে পারলে তখন সব উন্নয়ন দেখবে।
Advertisement
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আরও ৭০টি উপজেলায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন>>> চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার কোনো বিকল্প নেই। এ কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, আজ দেশের ৪৫ উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে ৭টি বিভাগের ৩৯টি জেলার ১৩৫টি উপজেলায় সমন্বিত চক্ষু চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আর নতুন এ কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনের ফলে দেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ বা ৫ কোটি মানুষ উন্নত চক্ষু সেবার আওতায় আসবে।
আরও পড়ুন>>> ৪৫ উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আমরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানের দিকে আরও বেশি যত্নবান হয়েছি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ৪টি কমিটি তৈরি করেছি এবং এর মাধ্যমে সারাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তদারকি করা হচ্ছে। আমরা প্রতিটি হাসপাতালে জনগণের উপস্থিতি, সব যন্ত্রপাতি সচল রাখাসহ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের বিষয় গুলো ভালোভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রশিক্ষিত জনবলের কিছুটা অভাব রয়েছে। তা পূরণেও জনবলের নতুন অবকাঠামো গঠনের জন্য জনপ্রশাসনে রয়েছে। চক্ষুরোগসহ অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশে। সেজন্য উন্নত চিকিৎসা ও হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন>>> চক্ষু চিকিৎসায় সব উপজেলায় হবে ভিশন সেন্টার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
এএএম/এমআইএইচএস/জেআইএম