এই উজ্জীবিত বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি ভয় ভারতের। মাঠে তো ১১ ক্রিকেটার নয়, প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেন যেন মিরপুরের পুরো গ্যালারি। মাশরাফিদের প্রতিটি বল কিংবা প্রতিটি শটেই দর্শকদের গগনবিদারী আওয়াজ। সেই চিৎকারের মধ্যেই টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছে ভারত। কিন্তু ব্যাট করতে নেমেই মাশরাফি-মুস্তাফিজদের আগুনে পেসের সামনে রীতিমত কাঁপছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।ভারতবধে মিরপুরের উইকেট ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো ঘাসের সবুজ আস্তরণে। সে কারণে ভারতের বিপক্ষে চার পেসার নিয়েই একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই পেস আক্রমণেই শুরু থেকে কুপোকাত হতে শুরু করে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজকেই সবচেয়ে বেশি ভয় ভারতীয়দের। এ কারণে তাকে নিয়ে বেশ স্টাডি করতে হয়েছে ধোনি অ্যান্ড কোংকে। কিন্তু মাশরাফি ধরলেন ভিন্ন পন্থা। চিরাচরিত নিয়ম ভঙ্গ করে শুরুতেই ইনিংস ওপেন করার জন্য ডেকে আনলেন তাসকিন আহমেদকে। প্রথম বলেই তার দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গার। অবাক হয়ে শুধু চেয়ে দেখলেন রোহিত শর্মা। তাসকিনের ইনসুইং, আউটসুইং সামলে থিতু হওয়ার আগেই আক্রমণে চলে আসলেন আল আমিন হোসেন। এই পেসারকে সামলে উঠতে পারেনি আর ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন আল আমিন হোসেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আগুন ঝরালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিলেন বিরাট কোহলি। সুরেষ রায়নাকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাঝে এক ওভার বোলিং করতে এসে আগুণ ঝরালেন মুস্তাফিজুর রহমানও। বাংলাদেশের এই কার্টার মাস্টারের কাছ থেকে ওভারে ভারতীয়রা নিতে পেরেছে মাত্র ৩ রান।তবে ওপেনার রোহিত শর্মাই এখন বাংলাদেশের জন্য বিপদের সবচেয়ে বড় কারণ। তিনিই টেনে নিয়ে চলছেন ভারতকে। এ রিপোর্ট লেখার সময় ৩৫ বলে ৪৩ রান করেছেন তিনি। ৭ রানে তার সঙ্গে রয়েছেন যুবরাজ সিং। এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের রান ১২ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান। আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement