তীব্র শীতে নাকাল কুড়িগ্রামের মানুষ। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মধ্যরাত থেকে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। গরম কাপড়ের অভাবে তারা শীত নিবারণ চেষ্টা করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে।
Advertisement
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে লালমনিরহাট, বিপাকে তিস্তা-ধরলা চরবাসী
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের আবাদ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি।
Advertisement
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, তীব্র শীতে ধানের চারা হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে। এভাবে শীত বাড়তে থাকলে ইরি আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।
দিনমজুর পারিমল বলেন, শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছি না। ফলে আমাদের আয় কমে গেছে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে শীতের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
Advertisement
কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলায় ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ হয়েছে। যা বিতরণ চলছে। এছাড়া ১৮ লাখ টাকার কম্বলের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা তিন সপ্তাহ ধরে শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী আরও কয়েকদিন চলমান থাকতে পারে।
ফজলুল করিম ফারাজী/জেএস/এমএস