ফিচার

আজিজুর রহমান ও মমতাজউদদীনের জন্ম

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

১৮ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার। ৪ মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

আজিজুর রহমানএকজন বাংলাদেশি কবি এবং গীতিকার। ১৯১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সাল থেকে তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকাতে তার লেখা কবিতা ও গান পাঠানো শুরু করেন। এসময় সওগাত, মোহাম্মদী, আজাদ, নবশক্তি, আনন্দবাজার, ভারতবর্ষ, বুলবুল, শনিবারের চিঠি পত্রিকাসমূহে নিয়মিতভাবে তার সাহিত্য বিষয়ক লেখা প্রকাশিত হত। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বেতারে (বর্তমান বাংলাদেশ বেতার) নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন। দুই হাজারের অধিক গান রচনা করেছেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায় রে, কারো মনে তুমি দিও না আঘাত, সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে, আকাশের ঐ মিটি মিটি তারার সাথে কইবো কথা, নাই বা তুমি এলে, আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা আমারই দেশ ভাই রে ইত্যাদি। ১৯৭৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

মমতাজউদদীন আহমদএকজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ যিনি এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। উল্লেখযোগ্য নাটক- নাট্যত্রয়ী, হৃদয় ঘটিত ব্যাপার স্যাপার, স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, কি চাহ শঙ্খ চিল, প্রেম বিবাহ সুটকেশ, জমিদার দর্পণ, রাজা অনুস্বরের পালা, ক্ষত বিক্ষত, রঙ্গপঞ্চাদশ, বকুল পুরের স্বাধীনতা, সাত ঘাটের কানাকড়ি, রাক্ষসী। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৯ সালের ২ জুন মৃত্যুবরণ করেন।

Advertisement

ঘটনা১৬৪২- প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে আবেল তাসমান নিউজিল্যান্ডে পা রাখেন।১৭৭৮- ইংরেজ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুক হাওয়াই দ্বীপ আবিষ্কার করেছিলেন।১৮৬২- বঙ্গীয় আইন পরিষদ গঠিত হয়।১৯১৯- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে প্যারিস শান্তি সম্মেলন শুরু হয়।১৯৩৮- সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন।১৯৯৭- কারো সাহায্য ছাড়াই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড।

জন্ম১৮৫৪- টমাস অগাস্টাস ওয়াটসন।১৯১৭- বাংলাদেশি কবি এবং গীতিকার আজিজুর রহমান।১৯৩৫- বাংলাদেশি নাট্যকার ও অভিনেতা মমতাজউদদীন আহমদ।১৯৪৫- একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশি সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন।১৯৫৪- মূকাভিনয় শিল্পী পার্থ প্রতীম মজুমদার।

মৃত্যু১৯৩৬- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ লেখক ও কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং।১৯৪৭- ভারতীয় সংগীত শিল্পী ও অভিনেতা কুন্দনলাল সায়গল।১৯৮৩- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও জননেত্রী মীরা দত্তগুপ্ত।১৯৯২- রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত ভ্রমণকাহিনি লেখক সুবোধকুমার চক্রবর্তী।

কেএসকে/এমএস

Advertisement