আন্তর্জাতিক

ত্রিপুরায় নির্বাচন ঘোষণার আগেই পুলিশি টহল জোরদার

আগরতলা প্রতিনিধি: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের শুধু ঘোষণাটাই বাকি। এ অবস্থায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গত ১১ জানুয়ারি দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমারসহ একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল রাজ্যে। পরে ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা কিরণ গিত্যেসহ সর্বদলীয় বৈঠক শেষে তারা রাজ্য ত্যাগ করেন।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল রাজ্য ছাড়ার পরপরই নড়েচেড়ে বসে প্রশাসন। নির্বাচন নিয়ে কার্যত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেন কোনো অভিযোগ তুলতে না পারে, সেজন্য বেশ সচেতন থাকতে দেখা যায় প্রশাসনকে। এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে কড়া পুলিশি টহল। এমনকি দীর্ঘদিন যেখানে কোনো মিছিল-মিটিং করার মতো সাহস দেখাতে পারছিল না বিরোধী দলগুলো, সেখানে এখন অন্তত ঘর থেকে বেরোতে পারছে তারাও।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় বাড়ছে রপ্তানি

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওযার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে নির্দেশ রয়েছে, মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে। কারণ, ভোটের আগে তেমন কোনো গোলযোগ দেখা দিলে ফল যে উল্টো হতে পারে, তা ভালো করেই জানে শাসক দল বিজেপি।

Advertisement

এদিকে, নির্বাচন ঘোষণা না হলেও কয়েকদিন যাবৎ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে রোড মার্চ। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি এতে অংশ নিচ্ছেন টিএসআর, বিএসএফ, সিআরপিএফসহ আধা-সামরিক বাহিনীর অনেকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরেও রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন এলাকায় চলেছে এই রোড মার্চ।

আরও পড়ুন>> লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া জোট নয়: মহারাজা প্রদ্যোৎ

পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টি কে চাকমার নেতৃত্বে রোড মার্চে আরও উপস্থিত ছিলেন মহকুমা প্রশাসক অরূপ দেব, পুলিশ কর্মকর্তা অজয় কুমার দাস প্রমুখ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টি কে চাকমা জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এটি খুবই জরুরি। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বেশ কিছু স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে বেশি করে রোড মার্চ করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে কোন কোন এলাকা থাকছে এই স্পর্শকাতর জায়গার তালিকায় তা জানাতে চাননি তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন>> ভোটে জেতা নয়, বদনাম করতেই ত্রিপুরায় এসেছে তৃণমূল: বিজেপি

কেএএ/