বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের প্রার্থী হতে বাধা নেই বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, নায়িকা মাহিয়া মাহি, ক্রিকেটার মাশরাফি এবং গায়িকা মমতাজ যদি প্রার্থী হতে পারেন, তাহলে আমি হতে পারবো না কেন?
Advertisement
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ হিরো আলমের প্রার্থী হতে বাধা নেই বলে আদেশ দেন।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আইনের ওপর আমার শ্রদ্ধা ছিল, নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বাতিল করলেও অন্তত আদালতে বিচার পাবো। সেই বিচার পেয়েছি। এখন আমার নির্বাচন করতে বাধা নেই। এবার প্রচারে নামবো।
আরও পড়ুন: আমার কোনো কালো টাকা নেই: হিরো আলম
Advertisement
এর আগে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় গত ৮ জানুয়ারি তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এরপর ১০ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আপিল করেন হিরো আলম। সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। সবশেষ হাইকোর্টে ফিরে পান তার প্রার্থিতা।
হিরো আলম বলেন, হিরোকে অলটাইম সবাই জিরো বানাতে চায়। কিন্তু হিরোকে কেউ জিরো বানাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।
আরও পড়ুন: ইসিকে হাইকোর্ট দেখিয়ে দিলাম : হিরো আলম
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে আবেদন করলে কি করবেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আইনিভাবে এগোচ্ছি। ওনারা আপিল বিভাগে গেলে আমরাও সেখানে যাবো।
Advertisement
এর আগে উপ-নির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। তার করা দুটি রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হাসান ও অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চানাচুর আলম, সিডি আলম, ডিশ আলম থেকে হিরো আলম
পরে আইনজীবী কাজী রেজাউল হাসান জানান, মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারকে বলেছেন আশরাফুল আলমকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে। যাতে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। এখন হিরো আলম বৈধ হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ ও বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ফলে আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে ১ ফেব্রুয়ারি ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এফএইচ/জেডএইচ/জিকেএস