রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। সেইসঙ্গে বেড়েছে বেশকিছু সবজিসহ ডিমের দাম। তবে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগি ও আলুর। এছাড়া চাল, ডাল, তেল ও মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, গাজর আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, চিকন বেগুন ৫-১০ টাকা বেড়ে ২০-২৫ টাকা, গোল বেগুন ৫-১০ টাকা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের দাম দিগুণ বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতার দাম ২০-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ১৫-২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০-৩৫ টাকা, মুলা আগের মতোই ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা পিস এবং ফুলকপি ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আগের মতোই আদা ১১০-১২০ টাকা ও রসুন ৯০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। এছাড়া বাজারে নতুন আসা মিষ্টি আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা এবং মটরশুঁটি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম, কমেছে মুরগির
Advertisement
খুচরা বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের দামেই ২৫-৩০ টাকা, শিল ও ঝাউ আলুর দাম কমে ৪০-৪৫ টাকা এবং গ্রানুলা (সাদা) আলু ২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এ সপ্তাহে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর নগরীর মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল গফুর বলেন, এ সপ্তাহে শীতকালীন সবজির আমদানি কমায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে কাঁচামরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম হু হু করে বাড়ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতো ১৪০-১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম ১০ টাকা কমে ২৪০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৩০-৪৪০ টাকা থেকে কমে ৪১০-৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: দাম বেড়েছে ডিম-আদা-রসুনের, স্বস্তি নেই চালেও
Advertisement
নগরীর সিও বাজারের মুরগি বিক্রেতা মকবুল বলেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে পোলট্রি মুরগির দাম অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। দেশি মুরগির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা দাম কমেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯০ টাকা এবং দুই লিটার ৩৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা কেজি, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর-২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শীতের প্রভাব সবজির বাজারে
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১০-১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট আটা ৬৮-৭০ টাকা ও খোলা আটা ৬০ টাকা, ছোলা বুট ৮৫-৯০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৮৫ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি দুই থেকে তিন টাকা বেড়ে ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই গরুর মাংস ৬২০-৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিক, মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০, পাঙাস ১৫০-১৬০, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০, বাটা ১৬০-১৮০, শিং ৩০০-৪০০, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমআরআর/জেআইএম