সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। ডিজিটাল যুগেও হাতে লিখে কিংবা আগের টাইপিং মেশিন দিয়েই কাজ চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ফলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়ছেন প্রতিষ্ঠানটিতে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা। বিটিসিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে শুরু করে অফিস ব্যবস্থাপনার প্রত্যেকটি বিভাগ চলছে সনাতন পদ্ধতিতে। এছাড়া পুরনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশ এখনও কম্পিউটার চালাতে পারেন না। ফলে হাতে লিখে কিংবা টাইপিং মেশিন দিয়েই কাজ চালান তারা। বিটিসিএলের কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, বিভিন্ন সেক্টরে বিল পরিশোধের জন্য অনলাইন পদ্ধতি চালু হলেও বিটিসিএল এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের কর্মীদের মাধ্যমে বিল পরিশোধের ব্যবস্থা থাকলেও গত বছর থেকে তা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে বিল আদায়ের দায়িত্ব বিটিসিএলের নিজস্ব কর্মকর্তাদের উপর ন্যস্ত রয়েছে। তাদের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা অভিযোগ উঠছে।বিটিসিএলের গ্রাহকরা জানান, তারা এক মাসের বিল অন্য মাসে হাতে পান। আবার কোনো কোনো বিল ৫-৬ মাস অতিক্রম করলেও বিল আদায়কারী কর্মকর্তাদের হদিস মেলে না। অনেক সময় বিল অনাদায় দেখিয়ে অফিসিয়ালি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এদিকে, বিল আদায়ের এ সনাতন পদ্ধতির কারণে রাজস্বের মোটা অঙ্কের ক্ষতির কথা স্বীকার করে বিটিসিএলের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আগের পদ্ধতিতেই বিল আদায় করছি। তবে আউটসোর্সিং কর্মীদের পুনরায় নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন, চলমান পদ্ধতিতে রাজস্ব ক্ষতিসহ অনেক সমস্যা হচ্ছে। খুব শিগগিরই এ সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিটিসিএল।আরএম/এসকেডি/এএইচ/আরআইপি
Advertisement