চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়িতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
Advertisement
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের টিআই বিপ্লব বড়ুয়া (৫২), জেলা পুলিশের কনস্টেবল জলৎকার চাকমা (৫২), মো. ওসমান গনি (৩০), অজয় চাকমা (৫০) এবং লিনা আকতার (২৯)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিপ্লব বড়ুয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম, আটক বেশ কয়েকজন
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Advertisement
এসময় নগরীর আলমাস সিনেমা মোড়, কাজির দেউড়ি থেকে এস এস খালেদ রোড, পুরাতন বিমানবন্দর এলাকা ও নেভাল রোড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ওইসব এলাকায় ছিল থমথমে পরিবেশ।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, কাজির দেউড়ি মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। তারা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আটক ১৬ জনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় মামলাও প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ২৫ জানুয়ারি সারাদেশে মহানগর ও জেলায় বিএনপির সমাবেশ
এদিকে পাল্টা অভিযোগ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মো. ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলায় ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে যুবদল নেতা বেলাল হামজা, বিষু, মো. এরশাদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার আলী, মো. সোহেল, জাকির হোসেন, মো. পারভেজ, রিয়াজ উদ্দিন. জুয়েল মির্জা, আল-আমিন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ চান্দগাঁও ওয়ার্ডের ইয়াছিন আহমেদ, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের আবদুল খালেক, পাঠানটুলী ওয়ার্ডের মো. ওসমান ও আবদুল জলিলকে আটক করেছে।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এদিন বিকেলে হঠাৎ করেই বিএনপি নেতাকর্মীরা নেভাল রোড, কাজির দেউড়ি মোড়ে যানজটে আটকেপড়া সাধারণ মানুষের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। কাজির দেউড়ি এলাকায় পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরপর পুলিশ কাজির দেউড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে নগর বিএনপি। সেই বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
ইকবাল হোসেন/এমকেআর/এমএস