লাইফস্টাইল

গায়ে হলুদের বাহারি কুলা কোথায় পাবেন ও দাম কত?

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় প্রথমেই থাকে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ থাকে বউ কুলা বা হলুদের কুলা ছাড়া। এই কুলায়ই রাখা হয় হলুদ, মেহেদি, চন্দন, উপটান, সুতাসহ গায়ে হলুদের বিভিন্ন তত্ত্ব।

Advertisement

বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের বউ কুলা বা হলুদের কুলা পাওয়া যায়। আকার ও ধরন অনুযায়ী এর দামেও আছে ভিন্নতা। শীতে বিয়ের আয়োজন বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: বিয়ের কনের গায়ে হলুদের সাজ-পোশাক যেমন হবে

এ কারণে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ মৌসুমে ব্যবসায়ীদের বিক্রিও হয় বেশি। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘সারা বছরে যেই বিক্রি হয় তার প্রায় সমান বিক্রি হয় শীত মৌসুমে।’

Advertisement

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বিয়ের অনুষ্ঠানের বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করার দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

আরও পড়ুন: বিয়ের আগে কেন ‘গায়ে হলুদ’ দেওয়া হয়?

বিয়ের বাজার ঘুরে দেখা যায় সেখানে আছে বাহারি কুলা। গ্রামের সাধারণ কুলার পাশাপাশি আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হলুদের কুলায় আছে নান্দনিকতা।

কোনোটি চতুর্ভূজাকৃতির, গোল, লাভ চিহ্ন আবার কোনোটিতে বর-কনে পুতুল সেট করা। কুলা কিনলে সঙ্গে পাবেন হলুদ ও মেহেদি রাখার কৌটাও।

Advertisement

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলুদের এসব কুলা বর-কনে উভয়ের জন্যই আছে। বরের জন্য সাধারণ কুলা আর কনের জন্য বউ কুলা কেনেন ক্রেতারা।

আরও পড়ুন: বিয়ের আগে হবু বর ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে

ব্যবসায়ীরা জানান, এসব কুলা তারা নিজেরা তৈরি করলেও এর কাপড়, লেস ও ফুল এসব আসে ভারত বা চায়না থেকে। আকার ও ধরন অনুযায়ী এসব কুলার দামও ভিন্ন।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণ হলুদের কুলার দাম ৩০০-৮০০ টাকা। তবে বউ কুলার দাম কিছুটা বেশি। প্রতিটির দাম ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। হলুদের কুলায় রাখা প্রতিটি সেট ক্রয় করা যাবে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

শীত মৌসুমে বিয়ে বেশি হওয়ায় বেড়েছে হলুদের কুলার বিক্রি। আগের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বিক্রি বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

‘ওয়েডিং অ্যারেঞ্জমেন্টের’ মালিক হলুদের কুলা, ডালা ও ঝুড়ি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ও দুই ঈদের সময় বিয়ের অনুষ্ঠান বেশি হয়।’

‘এ সময় বিক্রিও বেশি হয়। অন্যান্য সময় যেখানে ৫-১০ হাজার টাকা বিক্রি হয় সেখানে শীতের মৌসুম ও ঈদের সময় বিয়ের অনুষ্ঠান বেশি হওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়।

আরএসএম/জেএমএস/এএসএম