কল্পনা সুনার তিনদিন আগে মাঘী সংক্রান্তি পালন করতে তনাহুনের দুলেগাউন্ডা থেকে পোখারায় আসেন। তিনি তার বাড়ির সামনের উঠানে কাপড় পরিষ্কার করছিলেন। এমন সময় লক্ষ্য করলেন একটি প্লেন আকাশ থেকে তার দিকে আসছে।
Advertisement
সুনার বলেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্লেনটি অস্বাভাবিক বাঁক নেয়। এরপরই বোমা বিষ্ফোরণের মতো শব্দ শুনতে পাই। এক পর্যায়ে আকাশের দিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে থাকে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইনসের যে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী তিনি।
আরও পড়ুন> নেপালে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
বেলা ১১টার দিকে পোখারা মেট্রোপলিটন সিটি-৭-এর ঘড়িপাটনে এটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা গীতা সুনারের বাড়ি থেকে প্রায় ১২ মিটার দূরে প্লেনটির একটি পাখা মাটিতে পড়ে।
Advertisement
গীতা বলেন, প্লেনটি আমাদের বাড়ির একটু কাছে পড়লে বসতিগুলো ধ্বংস হয়ে যেতো। ঘটনাস্থলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে যেহেতু এটি বসতি থেকে দূরে হয়েছে, তাই বসতিগুলোর ক্ষতি হয়নি।
যেহেতু মাঘী সংক্রান্তি ছিল তাই গীতা সকালে মন্দিরে গিয়েছিলেন ও প্রার্থনা করে খাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন। এরপরই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন> ২০১০ সাল থেকে নেপালে যত ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা
গীতা বলেন, সেতি ঘাটের দুপাশে আগুন দেখা যায়। যেখানে এটি আছড়ে পড়ে তার চারপাশে মরদেহগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। রাস্তায় খেলতে থাকা শিশুরা প্লেনের ভেতর থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পায় বলেও জানান তিনি।
Advertisement
১১ বছর বয়সী সমীর ও প্রজ্বল পারিয়ার বলেন, প্লেনটি বাঁক নিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় তারা সেখানে খেলছিল। প্রথমে তারা ভেবেছিল এটি একটি খেলনা। কিন্তু কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা সরে যায়।
আরও পড়ুন> নেপালে প্লেন দুর্ঘটনা, এখনো নিখোঁজ ৪
সমীর বলেন, হঠাৎ ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। মনে হচ্ছিল এটি আমাদের স্পর্শ করবে।
একই এলাকার বাসিন্দা বাইনশা বাহাদুর বিকে বলেন, প্লেনটি সোজা এসে বসতিতে গিয়ে বিধ্বস্ত হলে আরও ক্ষতি হতে পারতো।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট
এমএসএম