চলছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। স্থায়ী ভেন্যুতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ মেলার প্রধান ফটক করা হয়েছে মেট্রোরেলের আদলে। এদিকে মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন স্টলে চলছে বাহারি অফার। এমনই আকর্ষণীয় অফার দিয়েছে হাতিল ফার্নিচার। এতে বিশেষ ছাড়ে ফার্নিচার কেনার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা ।
Advertisement
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে বাণিজ্যমেলায় হাতিল ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নে গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
জানা যায়, মেলা উপলক্ষে প্রত্যেকটি পণ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ছাড় দিয়ে এসব পণ্যের মধ্যে ড্রেসিং টেবিল ৩৮ হাজার ৪৭৫ টাকা, ওয়ারড্রব ৮৫ হাজার ২৫, বেড সাইড টেবিল ১০ হাজার ৬৬৫, খাট ৫৬ হাজার ৪৩০, ডাইনিং সেট এক লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫, সোফা সেট ৭৫ হাজার ৮৭০, টিভি কেবিনেট ২০ হাজার ২৫, রকিং চেয়ার ১৮ হাজার ১২১ ও কর্নার টেবিল নয় হাজার ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় ১০ শতাংশ ছাড়ে ওয়ালটনের পণ্য বিক্রি
Advertisement
আবু সাইদ খোকন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, বাণিজ্যমেলায় ঘুরতে এসেছি। মেলায় হাতিলের আকর্ষণীয় সব ফার্নিচার দেখে আমি খুব আকৃষ্ট হই ও ছবি তুলি। ফার্নিচারগুলো সত্যিই খুব সুন্দর। ইচ্ছা আছে, আগামী বছর হাতিল থেকে একটি খাট কিনবো।
সোফা সেট কিনতে আসা শরীফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, দেশের বাইরে থাকায় গত কয়েক বছর মেলায় আসা হয়নি। এবার ছুটিতে দেশে থাকায় মেলায় সপরিবারে ঘুরতে এলাম। মেলায় এসে হাতিল ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নটিতে একটি সোফা সেটে চোখ আটকে গেলো। পরিবারের অনেকে আবদার করছে, তাই সোফা সেটটি কিনে ফেললাম।
আরও পড়ুন: ১৩০ টাকায় মিলছে ক্রোকারিজ পণ্য
প্যাভিলিয়নটির ইনচার্জ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, করোনার কারণে গত বছর ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাইনি। তবে এ বছর ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। ক্রেতারা বিশেষ ছাড়ে এসব পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন। এছাড়া ক্রেতারা চাইলে এসব পণ্য তাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার সুব্যবস্থাও রয়েছে। তবে সেজন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। আশা করছি, এবার ভালো বিক্রি করতে পারবো।
Advertisement
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় হাইটেকের ফার্নিচারে ১৫ শতাংশ ছাড়
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বাণিজ্যমেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এবার মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিট কেনা যাবে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/আরএডি/জিকেএস