মুদ্রানীতি সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে আবারও রেপো বা নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রেপো সুদ হার দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার (১৫ জানুয়ারি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ষাণ্মাসিকের জন্য এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। ফলে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে হলে আগের চেয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ৬ শতাংশ সুদ গুণতে হবে।
ওভারনাইট রেপো সুদহার আগের চেয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৬ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে রেপো তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নেওয়া ধারের বিপরীতে ৬ শতাংশ সুদ দিতে হবে।
গত বছরের জুন মাসে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে রেপো বা নীতি সুদহার ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর তিন মাসের মাথায় সেপ্টেম্বরে তা আরও ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়। নতুন মুদ্রানীতে তা বেড়ে ৬ শতাংশ উন্নীত হলো।
Advertisement
রেপোর মাধ্যমে সাধারণত একদিনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার বা জমা রাখা হয়।
আরও পড়ুন: আমানতের সুদে থাকলো না সীমা, ভোক্তা ঋণের সুদহার বাড়লো ৩ শতাংশ
এর আগে ২০২২ সালের জুনে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য একটি ‘সতর্কতা’ মুদ্রানীতি প্রকাশ করা হয়েছিল। মুদ্রার গতিবিধি প্রক্ষেপণ করে মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতি হলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করা, ঋণের প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ঋণের জোগান ধার্য এবং মুদ্রার প্রচলন নিয়ন্ত্রণ।
একসময় ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হতো। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে এক বছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রচলন শুরু করেন সাবেক গভর্নর ফজলে কবির। বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে পরামর্শ এসেছিল কয়েক মাস আগে ঋণ নিয়ে ঢাকায় আলোচনা করতে আসা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে। গত বছরের জুলাইয়ে গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়া আব্দুর রউফ তালুকদারের প্রথম মুদ্রানীতি এটি।
Advertisement
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ছিল ‘সতর্কতামূলক এবং কিছুটা সংকোচনমুখী’। সেখানে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ জোগানোর ব্যবস্থা রাখা হয়। সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যা গতবার ছিল ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
ইএআর/এমকেআর/জেআইএম