ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটির সদ্য সাবেক বিচার ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যান্ডারসন টরেসকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ছুটি কাটিয়ে ব্রাজিলে ফিরে আসার পর শনিবার (১৪ জানুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
জানা যায়, গত সপ্তাহে দেশটির রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সরকারি ভবনগুলোতে আক্রমণের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেসময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারা ও হামলায় তার পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে এমন সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলে, বলসোনারোর সরকারের বিচার মন্ত্রী ছিলেন অ্যান্ডারসন টরেস। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
দাঙ্গার জেরে ব্রাজিলের সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেফতারের নির্দেশ
Advertisement
বিচারপতি মোরেসের আদেশের বিষয়ে জানার পরে টরেস মঙ্গলবার এক টুইটে বলেন, আমি ছুটি বাতিল করেছি ও ব্রাজিলে ফিরে আসছি।
এর আগে ব্রাজিলের নতুন বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো বলেছিলেন, টোরেসকে ব্রাজিলে ফিরে আসার জন্য সোমবার (৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনি ফিরে না এলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের অক্টোবরের নির্বাচনে পরাজয়ের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। তাছাড়া, চলতি মাসের শুরুতে নতুন রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
এরপর বোববার (৮ জানুয়ারি) বলসোনারো সমর্থকরা রাজধানীতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালান। হামলাকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ওই সব অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ঢুকে পড়েন।
Advertisement
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় হামলা
গত বছর কট্টর ডানপন্থি বলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলের ক্ষমতায় আসেন বামপন্থি নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় এমন হামালার জন্য তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টকেই দায়ী করেন। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়েও সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ওপর চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন লুলা।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) লুলা বলেন, মিলিটারি পুলিশের অনেকেই তাণ্ডবে সহযোগিতা করেছেন। সশস্ত্র বাহিনীর অনেকেও জড়িত। নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সদস্যকে খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে। তাদের সবাইকে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বাদ দেওয়া হবে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ