ভিটামিন ডি সানসাইন ভিটামিন নামেও পরিচিত। শরীর সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলেই শরীরে ভিটামিন ডি’র যোগান মেলে। যদিও কিছু খাবার থেকে এটি পাওয়া যায়, তবে এই ভিটামিনের প্রধান উৎস হলো সূর্য।
Advertisement
তবে শীতে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা দেয় কমবেশি সবার শরীরেই, এর কারণ হলো শীতে তেমন রোদ ওঠে না। ফলে শরীরে মেলে না ভিটামিন ডি।
আর এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হলো জয়েন্টে প্রদাহ। এছাড়া আরও যেসব রোগে ভুগতে পারেন এই ভিটামিনের ঘাটতিতে-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
Advertisement
এনসিবিআইয়ের তথ্যমতে, ভিটামিন ডি’র সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কিত। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে প্রায়ই রোগে ভুগতে হতে পারে। যেহেতু ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাই এর ঘাটতিতে শরীরের রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ক্লান্তিতে ভোগান্তি
আপনি যদি কোনো কারণ ছাড়াই সব সময় ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে আপনার ভিটামিন ডি পরীক্ষা করাতে হবে। ভিটামিন ডি’র অভাবে শক্তির স্তরের পাশাপাশি নতুন কাজের প্রতি আপনার মেজাজকেও প্রভাবিত করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়
Advertisement
ওয়েবএমডি’র তথ্যমতে, বিষণ্নতা হলো ভিটামিন ডি ঘাটতির আরেকটি লক্ষণ। এক্ষেত্রে ক্রমাগত ক্লান্তি মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
চুল পড়ে
অত্যধিক চুল পড়া ও চুল লম্বা না হওয়ার কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি। কম ভিটামিন ডি চুলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যদি দেখেন অত্যধিক চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাহলে সঠিক নিয়মিত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।
ত্বকের ক্ষতি হয়
যাদের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি নেই, তাদের ত্বকে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া ত্বকের বয়সও খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হলে কী করবেন?
ভিটামিন ডি’র ঘাটতি মেটাতে হলে মাশরুম, ডিম, কমলার রস, পনির, চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, টুনা ও ম্যাকেরেল গ্রহণ করুন।
এছাড়া দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, দুধ, সিরিয়াল, সয়া জুস ইত্যাদি খান। চাইলে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই ভালো।
জেএমএস/এমএস