বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশ-বিদেশের প্রায় ৬ হাজার প্রকৌশলী ও তাদের পরিবাররের সদস্যরা এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শুক্রবার দিনব্যাপী এ আয়োজনে ছিল উদ্বোধনী অধিবেশন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুর্নমিলনী উপলক্ষে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে বুয়েটের খেলার মাঠ।
Advertisement
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও উপ-উপাচার্য অধ্যপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।
আরও পড়ুন>>> ভর্তিতে নিজেদের চাপ কমাতে মেধাবীদের স্বপ্ন ভাঙছে বুয়েট
সভায় সভাপতিত্ব করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
Advertisement
বক্তারা বুয়েট অ্যালামনাইদের দেশে-বিদেশে অসামান্য কৃতিত্বপূর্ণ অবদান, বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বিগত দিনের কার্যক্রম, বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রশাসনের নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আগামীতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বর্তমানের চেয়ে ১০০ গুণ বেশী দক্ষ হয়ে বের হবে।
মুক্ত আলোচনার বিষয় ছিল প্রকৌশল শিক্ষার বিবর্তন এবং ভবিষ্যত। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড মেটিরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম।
আরও পড়ুন>>> জাতীয় পরিবেশ পদক পেলো বুয়েট
আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর মহাসচিব প্রকৌশলী মাহ্তাব উদ্দিন, মহাপুনর্মিলনী-২০২৩ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মুনীর উদ্দিন আহমেদ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক ও বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাষ্টি প্রচার, প্রকাশনা ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী ইমু রিয়াজুল হাসান। গত বুহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বুয়েট অ্যালামনাই প্রকৌশল ১৯৭২ এবং স্থাপত্যে ১৯৭৩ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের ৫০ বছর এবং প্রকৌশল ১৯৯৩ এবং স্থাপত্যে ১৯৯৫ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের ৩০ বছর পূর্তিতে সংবর্ধনা জ্ঞাপন এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রকৌশলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৭২ ব্যাচের ১১৩ জন এবং প্রকৌশল ১৯৯৩ ব্যাচের মধ্যে ১৮১ জন এবং স্থাপত্যে ১৯৯৫ ব্যাচের ১৬ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
Advertisement
এমএইচএম/এমআইএইচএস/এমএস