চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। মেলার প্রথম কয়েকদিন তেমন ক্রেতা-দর্শনার্থী না থাকলেও ছুটির দিনে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এদিকে মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ফলের স্টলে চলছে নানা লোভনীয় অফার। বিদেশি ফলে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এতে ফলের স্টলগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
Advertisement
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) মেলায় ফলের স্টলগুলোতে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
আহসান মতিনা নামে একটি ফল স্টলে অধিকাংশ ক্রেতাদের ফল দরকষাকষি করতে দেখা যায়। স্টলটিতে ১০ শতাংশ ছাড়ে পার্সিমন ফল এক হাজার ৫০ টাকা, রেড ড্রাগন এক হাজার টাকা, সাম্মাম এক হাজার দুই টাকা, অ্যাভোকাডো এক হাজার তিনশ টাকা, চেরি ফল পাঁচ হাজার পাঁচশ টাকা, স্ট্রবেরি চারশ টাকা, আলু বোখারা এক হাজার তিনশ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ফল কিনতে আসা আফজাল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, সবসময় দেশি ফলের স্বাদ নেওয়া হলেও বিদেশি ফলের স্বাদ নেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ এসব ফল সব জায়গায় কিনতে পাওয়া যায় না। মেলা উপলক্ষে ছাড় চলায় কিছু ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
Advertisement
সামির ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আজ আমার অফিস ছুটি থাকায় পরিবার নিয়ে বাণিজ্যমেলায় এসেছি। সবসময় দেশি ফলের স্বাদ নেওয়া হয়। মেলায় এসে এ দোকানটিতে বিদেশি ফলের সমাহার দেখে খুব বিস্মিত হয়েছি। ছেলের জন্য এখান থেকে চেরি ফলটি কিনে নিয়ে যাবো।
আহসান মতিনা ফুডের ইনচার্জ মো. মনির বলেন, আমার স্টলটিতে সব বিদেশি ফল রয়েছে। এগুলোর দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তবে মেলা উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ে এসব ফল বিক্রি করা হচ্ছে। মেলার প্রথম থেকেই আমরা ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, আগামীতে আরও পাবো। ছুটির দিনে ক্রেতাদের চাপ একটু বেশি থাকে বলে জানান তিনি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সাল থেকে যৌথ উদ্যোগে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে আসছে। এতদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেলা অনুষ্ঠিত হলেও গত বছর থেকে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এবার মেলায় কিছু ভিন্নতা আনা হয়েছে। ওই বছর বাণিজ্যমেলায় শিশুপার্ক ছিল না। এবার মিনি শিশুপার্ক করা হয়েছে। ফুডকোর্ট স্থানান্তর করে নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবছর স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে।
Advertisement
মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশের ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে এবারের আয়োজনে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/আরএডি/জেআইএম