দেশজুড়ে

গ্রামে চোর না রাখার সিদ্ধান্ত

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরু চুরি বেড়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গ্রামে একের পর এক চুরি ঠেকাতে কোনো চোর ওই গ্রামে বসবাস করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নে গগডা উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক বৈঠক হয়। বৈঠকে গ্রামটির শত শত লোক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকের পরিচালক গগডা (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গগডা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে গগডা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া মজনু, ইউপি সদস্য মশিউর রহমান মজনু, হলুদ মিয়া, শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম ভূঁইয়া, এখলাস উদ্দিন, ব্যবসায়ী জানু মিয়াসহ গ্রামের শত শত লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ

Advertisement

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, চোর ধরে পুলিশের কাছে দেওয়ার পর আবার বেরিয়ে এসে এলাকায় হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাই এলাকার মানুষ নিরাপদ থাকা ও সচেতনতার জন্য এ বৈঠক করা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রামে কোনো চোর থাকতে পারবে না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি চুরি ছেড়ে সংশোধিত হন তাহলে তার গ্রামে বসবাস করতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরু চুরি প্রতিরোধে বেশকিছু দিন ধরে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের লোকজন পালাক্রমে পাহারা বসিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত ৮ জানুয়ারি রাতে গগডা উত্তরপাড়া গ্রামের সুবাস দেবনাথ নামের এক কৃষকের গরু চুরির প্রস্তুতিকালে স্থানীয়রা টের পেয়ে রবি নামের একজনকে ধাওয়া করেন। পরে তিনি আহত হন।

আরও পড়ুন: স্কুলের এক ভবনে ১৯ মৌচাক!

Advertisement

ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রাম থেকে পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল চুরি হয়েছে। এর কয়েকদিন আগে একই উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রাম থেকে চোরেরা গোয়ালঘরের তালা ভেঙে এক কৃষকের ছয়টি গরু নিয়ে যায়।

গত মাসে পাইকুড়া ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের কৃষক কাঞ্চন মিয়ার গোয়ালঘর থেকে চোরেরা প্রায় ৭০ হাজার টাকা দামের একটি গরু চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে জানু মিয়া (২১) নামের একজনকে আটক করেন। এসময় চোরাই গরুটিও উদ্ধার করা হয়। তবে অন্যরা পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন: কৃষক সেজে মাঠে গিয়ে আসামি ধরলো পুলিশ

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে এ ঘটনার পরদিন গরুর মালিক কাঞ্চন মিয়া বাদী হয়ে আটক জানু মিয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন বলেন, চুরি প্রতিরোধে এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে।

এইচ এম কামাল/এসআর/এএসএম