অধ্যাপক ড. মো. সানোয়ার হোসেন
Advertisement
বাংলা নাটকের জাতীয় নাট্য আঙ্গিক বিনির্মাণের রূপকার, নাট্যকার সেলিম আল দীন লেখক জীবনে সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় শিল্প রচনায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তবে তিনি উভয় বাংলার শিল্পী সাহিত্যিকদের কাছে নাট্যকার হিসেব অধিক পরিচিত। অনেকে সেলিম আল দীনকে ‘সব্যসাচী নাট্যব্যক্তিত্ব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি সেলিম আল দীন প্রয়াত হলে এদেশর বরেণ্য শিল্পী সাহিত্যিক, সমালোচক, গবেষক, সাংবাদিক ও নন্দনতাত্ত্বিকগণ তাঁকে নানা বিশেষণে অভিহিত করেছেন। যেমন- বাংলা নাটকের মহানায়ক, বাংলা নাট্যের গৌড়জন, আচার্য সেলিম আল দীন, সেলিম আল দীন একটি মহাকাব্যের নাম ইত্যাদি। এই নাট্যকার নাটক রচনার প্রারম্ভকালে পাশ্চাত্যের শিল্পরীতি অনুসরণ করেন। তবে নাটক রচনার বিষয় ও শিল্পশৈলী উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তিনি ক্রমাগত প্রাচ্যের শিল্পভূমিকে গ্রহণ করেছেন।
নিরন্তর গবেষণার ফলস্বরূপ তাঁর নাটকে প্রকাশ পেয়েছে নানা মাত্রায় নতুনত্বের বৈশিষ্ট্য। নতুনত্বের বৈশিষ্ট্য তিনি সৃষ্টি করেছেন নাটকের ভাষা প্রয়োগে, রচনার বিষয়বস্তুতে, কাহিনি ও চরিত্র নির্মাণে, বিশেষ করে আঙ্গিক বা রচনার গড়ন কৌশল উপস্থাপনে। সৃজনশীল শিল্পের প্রকরণগত ভাবনার বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর প্রবর্তিত ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদী’ শিল্পতত্ত্বে। এই ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদী’ শিল্পতত্ত্বের সূত্র অনুসারেই সেলিম আল দীন বলেন ‘আমার রচনার মধ্যে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান, নৃত্য অর্থাৎ শিল্পের প্রায় সকল শাখাই এক অদ্বৈত প্রেরণায় আত্মপ্রকাশ করে’।
Advertisement
অর্থাৎ তাঁর নাটকে আছে শিল্পসৌন্দর্যের বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনা। নাটক ব্যতিরেকে কবিতা, গল্প ও উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রেও তিনি প্রাচ্যের শিল্পভূমি ব্যবহার করেছেন। তবে নাট্যকারের তুলনায় তাঁর কবি প্রতিভার পরিচয় একেবারেই ক্ষীণ। অথচ তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু, উপস্থাপন কৌশল, শব্দ ও অলঙ্কার এবং কৈশোর জীবনের নানা চিত্রকল্প ও ঐতিহ্য ব্যবহারে আছে তীব্র নৈপুণ্যের ছাপ। এরূপ বিষয় তাঁর কবিতায় কিরূপে প্রতিফলিত হয়েছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে তা পর্যালোচনা করা আলোচ্য প্রবন্ধের মূল বিষয়। বিস্তারিত আলোচনার শুরুতেই এই শিল্পশ্রষ্টার প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
সেলিম আল দীন কবিতা রচনার চেয়ে নাটক রচনায় অধিকতর প্রাণবন্ত ছিলেন এবং স্বছন্দ অনুভব করতেন। ফলে সৃজনশীল শিল্প চর্চায় তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় নাটক রচনায় ব্যয় করেছেন। তবু জীবদ্দশায় তিনি যে কয়টি কবিতা রচনা করেছেন তাতে ব্যক্তির অনুভব, উপলব্ধি সমগ্রতায় প্রকাশ পেয়েছে। ফলে তার কবিতা সমসাময়িককালের অপরাপর কবিদের কবিতা থেকে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের পরিচয় ফুটে উঠেছে। তাঁর ‘কবি ও তিমি’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত কবিতার শিরোনামেই বোঝা যায় সমসাময়িককালের কবিদের প্রচলিত কবিতা থেকে তাঁর কবিতার বিষয় ও আঙ্গিক কৌশলে ভিন্নতর।
এ কথার সত্যতা মিলে ‘সেলিম আল দীন কালের ভাস্কর’ গ্রন্থে। উল্লিখিত গ্রন্থে আছে-‘নামকরণ দৃষ্টে নিশ্চয়ই এ সত্যটি অনুধাবন করা সম্ভব যে, কাব্যভাবনা ও বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তিনি সমকালীন কবিদের থেকে কতকটা হলেও ব্যতিক্রমের দাবিদার’। এই উক্তির যথার্থ পরিচয় মিলে তার কবিতার অন্তরনিহিত অর্থ অনুসন্ধানে। আমরা জানি সেলিম আল দীন শিল্প সাহিত্যের নানা শাখায় সৃজনশীল, মৌলিক ও গবেষণামূলক কাজ করলেও তিনি শিল্পী সাহিত্যিকদের কাছে নাট্যকার হিসেবেই অধিকতর পরিচিত ছিলেন।
এর নেপথ্যের অন্যতম কারণ তিনি গল্প, কবিতা কিংবা উপন্যাস রচনার চেয়ে নাটক রচনাকেই প্রধান ও প্রিয় বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এই জন্যেই ‘সেলিম আল দীনের নাট্যভাষা কবির ভাষা- তা নিত্য ঝংকৃত হয় উপস্থাপকের বর্ণনায়, চরিত্রের সংলাপে, অলঙ্কার ও শব্দানুষঙ্গে, চিত্রকল্পে। ফলে তাঁর কবিতায় প্রত্যক্ষ করা যায় নাটকীয় সংলাপ, চরিত্র এবং বিষয় হিসেবে বাল্যপ্রেমের অন্তরালে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলার দৃশ্যচিত্র। উদাহরণ হিসেবে তার রচিত একটি কবিতা নিন্মে উদ্ধৃত হলো-
Advertisement
: ভুলে যাও, ভুলে যাও তো সেইমেলায় যাবার পথে যে আধূলিটিহারিয়ে গিয়েছিল একদিন।ভুলে যাও, ভুলে যাও তো সেই।রাঙা ঘুড়ি কিনবার সাধ ছিল মনেপুতুল নাচ দেখার।ঘুড়ি হয় নাই কেনাপুতুল নাচের তাবুর চারপাশ দিয়েঘুরেছি যখনশুনেছি নাচের শব্দগীতগুলি-গানগুলিপ্রিয় সহপাঠিনীমালতী কুসুমতার কাছে লেখা প্রথম প্রেমের চিঠিস্কুলে যাবার পথেসেও হারিয়েছিলামচেনাপথই তবে সেজেছিল মালতী কুসুমস্মৃতির দুঃখগুগুলি থেকেশিশির বিন্দু ঝরেসেই শীতলতা ছুঁয়ে যায়আমার দু’চোখ।
সেলিম আল দীনের এই কবিতায় একদিকে যেমন এক স্কুল বালকের আধূলি এবং প্রথম প্রেমের প্রেমপত্র হারানোর মর্মপীড়ার উচ্চারণ শোনা যায়। অন্যদিকে ঠিক তেমনি কবির কবিতার সিঁড়ি বেয়ে পাঠকদের চলে যেতে দেখা যায় গ্রামীণ মেলায় বা উৎসবে-পার্বণে। যেখানে নানা রকমের পসরা সাজানো থাকে, ঘুড়ি উড়ে, পুতুল নাচের আসর বসে।
এভাবে একের পর এক কবিতা রচনা করে তিনি ‘ব্যক্তিক অভিব্যক্তিকে নৈর্ব্যক্তিক ও সার্বজনীন অনুভূতিরূপে’ উপস্থাপন করেন বিভিন্ন চিত্রকল্প। গল্প বলার রীতি সেলিম আল দীনের কবিতায় প্রত্যক্ষ করা যায়। যেমন- ‘ডিম’ কবিতায় কবি ‘হিঙ্গুরিয়া নদী ও রাক্ষস সমন্ধে’ প্রচলিত ভাষার সঙ্গে কিছু আঞ্চলিক ভাষার সমন্বয়ে দীর্ঘ গল্প বলেছেন গদ্যছন্দে।
উদাহরণ হিসেবে নিন্মে এর কিছু অংশ উদ্ধৃত হলো : ‘উত্তরে হিমানী পর্বত। অঘর অগম রাজ্য। সেই দ্যাশে আছে এক স্থান নাম নীলকমল। নীলকমলের গাঙের নাম হিঙ্গুরিয়া। লালি হলুদ বরণপানি তার। আমরার দ্যাশ লালমাটির আর ধান কালাইর আবাদ করি সম্বতসরের খোরাক। দশ বিশ ঘর আমারা চাষী মাঝি ছুতার কলু। মিষ্টি আলু- মুখিকচু কত যে বুনি। শীতে খাঝুর গাছের বুক ছেইন্যা রস নামাই। টেকা কড়ির ধারতাম না ধার- জিনিসের বদল জিনিস। তালের তাড়ি বানাইতো- নাইরকলের নেশা- আমগো বৌ ঝিরা। বোয়াল মাছের চামড়া খুইলা দিতাম সরোজের ছাওনী- বাজতো খ্রাম।
- মাঝে মধ্যে ভূমি কাঁপতো থরথরায়া। আমগো বাপে চাচায় কইতো-ওই-নীলের নকশা শাদাচূড়া হেই দ্যাশে আজ রাইক্ষসগরে দেখতে কেবা। না-বেবাক মানুষের মতন খালি জিভটা রক্তের নাগাল লাল আর দুই কত্তা- দাঁত। --দাদার কোলে বইয়া হেই দ্যাশের কত যে কিস্সা হুনতাম আর ডরে দাদার বুকে চাইপ্যা থাকতাম’।
এছাড়াও এতে আছে বাংলা নাট্যরীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য বর্ণনা ও সংলাপের উপস্থিতি। উদাহরণস্বরূপ ‘পাগলা মাঝির বর্ণনা’, ‘সাপের দেহলক্ষণ বর্ণনা’ ইত্যাদির কথা বলা যায়। বিষয়টি স্পষ্ট করার নিমিত্তে ‘ডিম’ শিরোনামকৃত আট (৮) নম্বর কবিতার কিছু অংশ উদ্ধৃত হলো- ‘জ্বর থেমে গেলে বৃদ্ধ চোখ মেলল আর বাউরা মাঝিটি হাত জোড় করে বলে :
বলেন বলেন বাবা-এ জীবনভাঙা নাও সেঁচতে সেঁচতেসেঁচলাম জনম।
এই ঢলে এই মেজবান হাঁস ছাড়াখোদার কছম কিছু নাই।বলেন আপনি তবে-কনথনেআমার ঘাটে ভাইস্যা আসিলেন।
আমরা জানি লেখক জীবনের সমগ্র আবেগ ও শিল্পমানস ভাবনার চিত্রপটে নাটক রচনা করাই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ জন্যেই তাঁর কবিতায় বারবার এসেছে নাটকের বৈশিষ্ট্য। অবশ্য জীবদ্দশায় সেলিম আল দীন নাটক, কবিতা, গান, উপন্যাস, গল্প ইত্যাদির শিল্পাঙ্গিককে অভিন্ন রূপে দেখার প্রয়াসী ছিলেন। সঙ্গত কারণেই সাহিত্য সমালোচকরা বলেন ‘তার সমস্ত রচনাই বারবার পাঠযোগ্য, পাঠযোগ্য কাব্যগুণেই’।
এ বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয় নিন্মোক্ত উক্তিতে- ‘তাঁর কবিতার বিষয় এবং রূপকল্পে শিকর সম্পৃক্ত শিশিরের ঘ্রাণ : কবিতার অবয়বে দৃশ্যধর্মীতা, কখনো বা আখ্যানের বৃত্যায়িত দোলাচল। এবং ছন্দনটীর নূপুর নৃত্যের চেয়ে গদ্যের স্বছন্দ বিহার। আবার রূপকল্পের বৈচিত্র্য ও নিরীক্ষার অন্তরালে ধৃত আছে সাম্প্রতিকতম সমাজের পীড়িত বাস্তব’। এই উক্তির সত্য উপলব্ধি করা যায় তাঁর বিভিন্ন কবিতার পঙক্তিতে পঙক্তিতে। শুধু কবিতায় নয়, তিনি নাটকের বিষয় ও আঙ্গিকের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছেন নিরন্তর।
নাটকে এরূপ নিরীক্ষার ফলেই আধুনিক বাংলা নাটক রচনায় তাঁর অসামান্য প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। নাটক যার ধ্যান জ্ঞান, নাটক নিয়ে যার নিরন্তর গবেষণা সেই নাট্যকার যখন কবিতা রচনা করেন তখন তাঁর কবিতায় নাটকীয় উপাদানের উপস্থিতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কবিতার বিষয় ও উপস্থাপনার নাটকীয় কৌশলের পাশাপাশা তাঁর কবিতায় আছে এদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, রাজনীতি এবং অর্থনীতি, গ্রাম ও নগরের সংগ্রামী মানুষের বাস্তব জীবনচিত্র।
সেলিম আল দীন শুধু কবিতা রচনাই করেননি, কবি ও কবিতা সম্পর্কে নানা মন্তব্যও করেছেন। এসব মন্তব্য তার রচিত নানা প্রবন্ধ এবং বিভিন্ন সময়ে প্রিণ্ট মিডিয়ায় দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পেয়েছে। যেমন সেলিম আল দীন নিজের রচনা সম্পর্কে অহংবোধ বা মন্তব্য না করে বলেন-‘একজন লেখক একটি রক্তনদীর শ্রোতে প্রবাহিত মাতৃভূমিতে এমন কিছু শিল্পবৃক্ষের বীজ বপন করবেন, যা থেকে জন্ম নেবে আকাশস্পর্শী কোনো অমর শাল্মলী বৃক্ষ’।
আবার তরুণ লেখকদের উদ্দেশ্যে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন-‘কৃত্রিম গ্রন্থসর্বস্ব বিদ্যা নয় বরং এই সৌরলোকের জানা অজানা ভুবন গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করা- এই প্রত্যক্ষণের মধ্যে থাকবে বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞানের এক তীব্রতর কল্পনাজাত সৃষ্টির আবেগ। দুটো বিষয় পরস্পরবিরোধী না ভেবে নিজের বোধকে একটি সমন্বিত জায়গায় স্থাপন করা। তবে আমাদের কালে নব্যকালের শিল্পের যে সম্ভাবনা আমরা আবিস্কার করেছি, তরুণ সৃষ্টিব্রতীগণ তাকে আরো পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবে’।
একই সাক্ষাৎকারে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-‘একজন কবি তার কবিতার মাধ্যমে এমন এক শিল্পলোক তৈরি করেন, যা সমগ্র জাতিসত্তার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠে। এই অপরিহার্যতার জন্য তিনি হন বিশ্বজনীন’। এতদ্ব্যতিত এ প্রজন্মের তরুণ লেখকদের প্রতি তিনি আরও বলেন -‘আমাদের তরুণরা অনেক বেশি ভূমিপ্রবণ এবং সতর্ক। মুক্তিযুদ্ধের কারণেই সম্ভবত আমাদের তরুণ লেখকদের মধ্যে নতুন ধরনের শিল্প ভাবনার বিষয়টি এসেছে’।
এভাবে সাহিত্যিক জীবনের নানা প্রেক্ষাপটে সেলিম আল দীন একদিকে যেমন কবিতা রচনা করেছেন এবং অন্যদিকে ঠিক তেমনি কবি ও কবিতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। কখনো কখনো আধুনিক বাংলা কবিতার দৈন্যদশা দেখে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। লেখক জীবনের শুরুতে তিনি ‘কবিতা লেখায় নিবিষ্টচিত্ত ছিলেন’। কিন্তু কবিতা রচনায় তিনি পূর্ণ মনোনিবেশ করেননি বা শিল্প রচনার মাধ্যম হিসেবে কবিতাকে প্রধান কর্ম বা ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেননি। শিল্প রচনার মাধ্যম হিসেবে তিনি নাটককেই সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছিলেন। এই জন্যে তার রচিত নাটকের তুলনায় কবিতার পরিমাণ, প্রচার ও প্রসার কম। কিন্তু শিল্পমানের বিচারে তাঁর কবিতা অত্যন্ত উন্নত।
সব মিলিয়ে বলা যায় চলমান জীবনের বাস্তব ঘটনা মনোজগতের স্বপ্নীল আলোয় আলোকিত সেলিম আল দীনের কবিতার শরীর। সুতরাং তার কবিতা শিল্প সৌন্দর্যের বিচারে আধুনিক বাংলা কাব্য সাহিত্যের ইতিহাসে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
তথ্যসূত্র :১. অরুণ সেন, সেলিম আল দীন নাট্যকারের স্বদেশ ও সমগ্র২. সেলিম আল দীন রচনা সমগ্র-৩-৭৩. সোহেল হাসান গালিব ও নওশাদ জামিল (সংকলন ও গ্রন্থন), কহন কথা সেলিম আল দীনের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার৪. লুৎফর রহমান, সেলিম আল দীন কালের ভাস্কর
এইচআর/এমএস