শীতে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথাসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় দ্বিগুণ। কারণ এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে সাধারণ ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
Advertisement
এরই মধ্যে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন নতুন উপধরন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন সুস্থ থাকাটাই চ্যালেঞ্জ। এ কারণে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কাশির সঙ্গে কফ ওঠা হতে পারে গুরুতর যে রোগের লক্ষণ
ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. অঙ্কিত তার ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন, স্টিম নেওয়ার। গরম পানির ভাঁপ নেওয়ার মাধ্যমেই নাকি ১১টি রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। শুধু গরম পানির সঙ্গে মেশাতে হবে ঘরোয়া ৪ ভেষজ। এতেই নাক, গলা ও ফুসফুস সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
Advertisement
এই বিশেষজ্ঞের মতে, স্টিম থেরাপি যেমন নাক-গলা-ফুসফুস ময়লা বের করে আনে, তেমনই ত্বকের লোমকূপের মুখ খুলে দেয় ও সেখানে আটকে থাকা জমাট বাঁধা সব ময়লা বেরিয়ে আসে। ত্বকের মৃত কোষও দূর হয়।
শীতে কেন জয়েন্টের ব্যথা বাড়ে, সারানোর উপায় কী?
হেলথলাইনের তথ্য অনুসারে, স্টিম ইনহেলেশন (স্টিম ইনহেলেশন বেনিফিটস) একটি দুর্দান্ত থেরাপি, যা ১১টি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিত্সা করতে সহায়তা করে। যেমন-
View this post on InstagramA post shared by Tulsi Ayurveda™️ | Dr.Ankit (@tulsiayurveda)
Advertisement
১. সাধারণ ঠান্ডা২. ইনফ্লুয়েঞ্জা৩. সাইনাস প্রদাহ৪. ব্রংকাইটিস৫. নাকের অ্যালার্জি৬. মাথাব্যথা৭. বন্ধ নাক৮. গলা ব্যথা৯. বুকে জমা কফ ও শ্বাসকষ্ট১০. নাকে শুষ্কতা ও চুলকানি ও১১. কাশি।
রুম হিটারের দাম কত? জানুন ব্যবহারের নিয়ম
স্টিম নেওয়ার সময় কী কী ভেষজ পানিতে মেশাবেন?
ডা. অঙ্কিত জানিয়েছেন, পানিতে তুলসি, দারুচিনি, লবঙ্গ ও গোলমরিচ মিশিয়ে স্টিমের পানি ফুটিয়ে নিন। এই ভেষজ শুধু শ্লেষ্মা থেকে মুক্তি দেয় না, নাক থেকে ফুসফুসের নালিতে যে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আছে তাও দূর করে।
কীভাবে স্টিম নেবেন?
এজন্য প্রথমে একটি সুতির কাপড়ের মধ্যে তুলসি, দারুচিনি, লবঙ্গ ও কালো গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে একটি পুঁটুলি তৈরি করতে নিতে হবে।
ঠান্ডায় হঠাৎ কানে যন্ত্রণা হলে দ্রুত যা করবেন
এবার একটি বড় পাত্রে গরম পানি ঢেলে তার মধ্যে ওই পুঁটুলিটি দিয়ে দিন। এরপর আপনার মাথা তোয়ালেতে ঢেকে গরম পানির ভাঁপ নিন।
স্টিম নিলে কীভাবে উপকার মেলে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম পানির ভাঁপ নেওয়ার সময় তা নাক দিয়ে চলে যায়। এরপর গলা, বায়ুনালি ও ফুসফুসে পৌঁছায়। এই বাষ্প টিউবগুলোতে উপস্থিত শ্লেষ্মা (কফ) শিথিল করে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে।
সূত্র: হেলথলাইন
জেএমএস/এমএস