আন্তর্জাতিক

ব্রিটিশ-ইরানি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে তেহরান

ইরানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ব্রিটিশ-ইরানি নাগরিক আলিরেজা আকবরির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরে তার পরিবারের।

Advertisement

জানা যায়, যুক্তরাজ্যের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আলিরেজা আকবরিকে দোষী সাব্যস্ত করে ইরান। ২০১৯ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আলিরেজার স্ত্রী মরিয়ম জানান, সরকারি কর্তৃপক্ষ আলিরেজার সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য আমাদের কারাগারে যেতে বলেছে। এরই মধ্যে তাকে নির্জন কারাকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে, আলিরেজা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করা ও তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে ইরানকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

Advertisement

বিবিসির পার্সিয়ান সার্ভিস বুধবার (১১ জানুয়ারি) আলিরেজার কাছ থেকে পাওয়া একটি অডিও বার্তা প্রচার করেছে। সেখানে তিনি বলেন, আমাকে নির্যাতন করে ক্যামেরার সামনে অপরাধের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমি কোনো অপরাধ করিনি।

“I was charged with obtaining top secret intelligence from Iran’s head of National Security Council in exchange for a bottle of perfume & a shirt during Rouhani’s administration,” Alireza Akbari said in an audio file obtained by BBC Persian. pic.twitter.com/7gP3MOcU6h

— Parham Ghobadi (@BBCParham) January 11, 2023

আলিরেজা বলেন, আমি কয়েক বছর আগে বিদেশে ছিলাম। সেসময় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক আলোচনায় জড়িত এক শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক আমাকে ইরান সফর করার আমন্ত্রণ জানান। তার আমন্ত্রণে ইরানে যাওয়ার পরই আমার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এক টুইটে বলেছেন, আলিরেজার মৃত্যুদণ্ড ইরান সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড। তারা বর্বর, মানুষের জীবনের কোনো গুরুত্ব তাদের কাছে নেই।

Advertisement

এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, ব্রিটিশ সরকার আলিরেজার পরিবারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তারা ইরান সরকারের কাছে আলিরেজার বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আলিরেজাকে জরুরি কনস্যুলার–সুবিধা দিতে ইরানকে অনুরোধ করেছিল ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইরান সরকার ইরানিদের দ্বৈত নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেয় না।

ইরানের সাবেক সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির আমলে আলিরেজা দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন খাতামি।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ