বিশ্ব ইজতেমায় প্রতি ঘণ্টায় ১৮ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। এ জন্য ইজতেমা ময়দানে ১৬টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এছাড়া অগ্নি নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬১ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
Advertisement
গাজীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলমগীর মিয়া এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ বছর ইজতেমায় ১১শ ফিট গভীর দুটি নতুন নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে ইজতেমা ময়দানে মোট ১৬টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১৮ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে মুসল্লির ঢল, ফুটপাতে বসেও চলছে জিকির
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, পুরো ইজতেমা ময়দান ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সির আওতায় আনা হয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রতিটি খিত্তায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হুক, ফায়ার বিটারসহ দুজন করে ফায়ার ফাইটার দেওয়া হয়েছে। তুরাগ নদীসহ ময়দানের চারপাশে ১৪টি পোর্টেবল পাম্প প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া ময়দানের বিভিন্ন স্থানে চারটি পানিবাহী গাড়ি, রোগী পরিবহনে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স, সহজে বহনযোগ্য স্পিড বোট, ডুবুরি দল, বেশ কয়েকটি টু হইলার, ১৩টি জেনারেটর এবং লাইটিং ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যেভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলো
ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরো ময়দানে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬১ জন দায়িত্ব পালন করবেন। ময়দানে ফায়ার কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া টঙ্গী, উত্তরা ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে।
Advertisement
আয়োজক সূত্র জানায়, উর্দুতে আম বয়ান শুরু হয়। এ বয়ান বাংলাসহ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করে শুনানো হয়। এরপর বাদ জুমা বয়ান করবেন মাওলানা ইসমাইল গুদর, বাদ আসর মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও বাদ মাগরিব মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন। এসব বয়ানের বাংলা অনুবাদ করবেন বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় গাড়ি পার্কিং ও বিমানবন্দরগামীদের জন্য নির্দেশনা
২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব হবে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি।
ইজতেমার মুরুব্বিদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম তাবলিগ জামাতের রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয় ইজতেমা। পরে সরকারিভাবে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেন।
মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/এমএস