জাগো জবস

ইয়াসমিন মেহেরের স্বপ্ন ‘আলবাট্রস বিডি’

‘আলবাট্রস বিডি’ নামের মাঝেই লুকিয়ে আছে উদ্যোক্তা ইয়াসমিন মেহেরের স্বপ্ন। জীবনের নানা পরিক্রমায় চাকরিজীবী তকমা থেকে বেরিয়ে হয়েছেন পুরোদস্তুর উদ্যোক্তা। তার গল্পটি শোনার জন্য কথা হয় মানুষটির সঙ্গে। জানা গেলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্তমানে এক লাখেরও বেশি মানুষ নিয়মিত ফলো করছেন তার প্রতিষ্ঠানকে।

Advertisement

ইয়াসমিন মেহেরের প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে প্রসাধনীসামগ্রী নিয়ে। রূপচর্চার নানা ধরনের বিদেশি ব্র্যান্ডের অথেনটিক পণ্য পাওয়া যায় এখানে। শহরের তরুণীদের মাঝে আছে বেশ জনপ্রিয়তা। ফেসবুকের মাধ্যমেই তার ব্যবসার রিচ বেড়েছে সর্বোচ্চ।

উদ্যোক্তা তন্বীর সফলতার গল্প 

ইয়াসমিন মেহের বলছিলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা পেজের মাধ্যমে টিউটোরিয়াল দেখে নামিদামি সব ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকি। তবে সামনে ইচ্ছা আছে, আমাদের আরও অনেক বিষয় আসবে; যেখানে আমরা আরও অনেক পণ্য আনবো।’

Advertisement

নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ক্যারিয়ারের শুরুতে একটি মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছিলাম। করোনা চলাকালীন আমার বেবি হওয়ার পর বাচ্চার দেখাশোনা করার জন্যই স্বপ্নের চাকরিটা ছেড়ে দিই।’

ঘড়ির কালেকশন নিয়ে উদ্যোক্তা মীমের পথচলা 

ব্যবসা শুরু সম্পর্কে ইয়াসমিন মেহের বলেন, ‘বাচ্চা দেখাশোনার পাশাপাশি যেন একটি ছোট বিজনেস করতে পারি, তা আগে থেকেই চিন্তা-ভাবনায় ছিল। তবে সাহস ছিল না। তখন আমার ব্যবসায়ী স্বামীই সাহস দেন। আমি ছোট পরিসরে আলবাট্রস বিডির যাত্রা শুরু করি।’

তিনি যোগ করেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার ছোট পরিসরে শুরু করা বিজনেস এখন বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমাদের এখনো কোথাও আউটলেট নেই। তবে আশা করছি ২০২৪ সালে প্রথম আউটলেট উদ্বোধন করতে পারবো।’

Advertisement

গয়নায় ক্যারিয়ার, মাসে আয় ৭০ হাজার 

পরিবারের সমর্থন কেমন ছিল? জানতে চাইলে হেসে বলেন, ‘আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, বাবা-মা সবার কাছ থেকেই সমর্থন পেয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছি আমার পার্টনারের।’

প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে ইয়াসমিন মেহের বলেন, ‘আশেপাশে অনেক মানুষের নেতিবাচক কথায় বিজনেসটা শুরু করার পথে অনেক বাধা অনুভব করতাম। আমার স্বামীই সাহায্য করেছেন সেই বাধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে। কথায় আছে, প্রত্যেকটি সফল ব্যক্তির পেছনে একজন নারী থাকেন। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু উল্টো!’

এসইউ/জিকেএস