ঢাকার ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. মনজুরুল ইসলাম (৩২) মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজন মারা গেলেন। এখনো চিকিৎসাধীন একজন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
Advertisement
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনজুরুল। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ছিল। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ সাদিয়াও চলে গেলেন, মৃত বেড়ে ৩
তিনি জানান, ঢাকার ধামরাই থেকে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। প্রথমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছরের শিশু মারা যায়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার মা জোসনা। এরপর মারা যান সাদিয়া আক্তার। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন শিশুটির বাবা মনজুরুল। এ ঘটনায় হোসনে আরা নামে আরেকজন চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
Advertisement
নিহত মনজুরুলের শ্যালক সাদ্দাম জানান, মনজুরুলের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের কৃষ্ণনগর গ্রামে। কর্মসূত্রে ঢাকার ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মেয়ের পর মায়েরও মৃত্যু
এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে ধামরাইয়ের ওই বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন পাঁচজন। তারা হলেন মো. মনজুরুল ইসলাম (৩৫), জোসনা আক্তার (২৫), সাদিয়া আক্তার (২০), হোসনে আরা (২০) ও মরিয়ম (২)। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চলে গেলো দুই বছরের শিশু মরিয়ম
Advertisement
জানা গেছে, মনজুরুল ইসলাম একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। শনিবার ভোরে তার স্ত্রী জোসনা রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।
কাজী আল-আমিন/কেএসআর/জিকেএস