জাতীয়

নিলামে দুই বছরে আড়াইশ কোটি টাকা আয় চট্টগ্রাম কাস্টমসের

চট্টগ্রাম বন্দরে নির্ধারিত সময়ে খালাস না হওয়া ও মালিকানাবিহীন পণ্য নিলামে তুলে গত দুই বছরে (২০২১ ও ২০২২ সালে) প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা আয় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এসময়ে ৬৬ পর্বের নিলামে তিন হাজার ১৯৫ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়।

Advertisement

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে খালাস না হওয়া পণ্য যথাসময়ে নিলামে তোলায় বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনার জটলা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এ নিলাম।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০২২ সালে ৪২টি নিলাম ডাকে চট্টগ্রাম কাস্টমস। ওই নিলামগুলোতে এক হাজার ৩৮১ লট পণ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এসব নিলামে খালাসবিহীন পণ্য বিক্রি থেকে কাস্টমস আয় করেছে ১৩০ কোটি ৩৭ লাখ ৬১৪ হাজার টাকা।

একইভাবে ২০২১ সালে ২৪টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এক হাজার ৮১৪ লট পণ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব পণ্য বিক্রি করে ওই বছর কাস্টমসের আয় হয়েছিল ১১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৪ টাকা।

Advertisement

সব মিলিয়ে দুই বছরে নিলাম থেকে ২৪৬ কোট ১ লাখ ৬০ হাজার ৭২৮ টাকা আয় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান মঙ্গলবার জাগো নিউজকে বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানির সিংহভাগ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। যে কারণে শুল্ক খাতে রাজস্ব আদায়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা পণ্য আমদানি হয়। অনেক সময় আমদানি নীতিবহির্ভূত পণ্য আমদানি হয়। আবার অনেক সময় অনেক আমদানিকারক নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস নেন না। যেসব পণ্য নির্ধারিত সময়ে খালাস নেওয়া হয় না এবং পণ্যের মেয়াদ রয়েছে, সেগুলো নিয়ম মোতাবেক কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে তোলে।

তিনি বলেন, গত দুই বছরে পর্যটন সুবিধায় আনা অনেক বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ই-অকশন (অনলাইন নিলাম) চালু হওয়ায় সারাদেশ থেকে আগ্রহীরা নিলামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে নিলামে অংশগ্রহণকারী যেমন বেড়েছে নিলামের মূল্যও বেড়েছে। এতে সরকারি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বেড়েছে।

ইকবাল হোসেন/এমকেআর/এএসএম

Advertisement