বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী অল্প দিনের মধ্যে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রফতানি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। পোল্যান্ড বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। পোল্যান্ড ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেয়া অস্ত্র ছাড়া সকল পণ্য রফতানির সুযোগের আওতায় বাংলাদেশ পোল্যান্ডে জিএসপি সুবিধা পেয়ে আসছে।তিনি বলেন, পোল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বাড়ছে। এছাড়া পোল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে পোল্যান্ডে বাংলাদেশর তৈরি পণের রফতানি আরো বাড়বে।মন্ত্রী আরো বলেন, পোল্যান্ড বাংলাদেশের স্পেশাল ইকনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশষ করে কঠিন শিলা সেক্টর এবং কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। বাংলাদেশ এবং পোল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত পোল্যান্ডের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার রাডসল ডোমাগালস্কি-ল্যাবিডজেস্কির নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে ৩০টি স্পেশাল ইকনমিক জোন প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলছে। বিনিয়োগে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। পোল্যান্ডকে এখানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কঠিন শিলা সেক্টরে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে পোল্যান্ডের, এ সেক্টটে তারা বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে পোল্যান্ড।পোল্যান্ডের ডেপুটি মিনিস্টার বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। পোল্যান্ড বাংলাদেশের কঠিন শিলা সেক্টর ও ফুড প্রোসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সঙ্গে পোল্যান্ডের চলমান বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হবে।উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ পোল্যান্ডে রফতানি করেছে ৪৯৪.৩৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৩৯.৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য ব্যবধান ৫৫৪.৮৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার। পোল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্য, চাড়াজাত পণ্য, টেবিল ওয়্যারসহ বিভিন্নপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) শুভাশীষ বসু, অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেছি উপস্থিত ছিলেন।এসএ/বিএ
Advertisement