খেলাধুলা

সরকারের চার বছরে কেমন কাটলো দেশের ক্রীড়াঙ্গন?

গত ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার চারবছর পূরণ করেছে। সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে চারবছর পূর্ণ করেছেন মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপিও।

Advertisement

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আগের দুই মেয়াদে মো. জাহিদ আহসান রাসেল ছিলেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ ও অভিজ্ঞ একজনকেই দিয়েছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। চার বছর পর এখন হিসেব-নিকেশের পালা, এই চার বছরে কতটুকু এগিয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন?

জাতীয় হ্যান্ডবলের ফাইনালে প্রধান অতিথি হয়ে মঙ্গলবার পল্টনের হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই চার বছরে কেমন কাটলো ক্রীড়াঙ্গন। তিনি নিজেকে সফল মনে করছেন কিনা এবং কোন কিছু করতে না পারার আক্ষেপও তার আছে কিনা।

এ বিষয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আপনারা জানেন যে, বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্ণ হয়েছে। চার বছর পূর্তিতে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা যখন এক বছর পার করেছিলাম তারপরই কিন্তু কোভিড-১৯ শুরু হয়ে যায়। কোভিড এখনো আছে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের যুদ্ধ গত এক বছর ধরে হচ্ছে। তিন বছর ধরে সারা বিশ্বে যে একটা টালমাটাল অবস্থা এর মধ্যেও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন যে পর্যায়ে আছে, আমি মনে করি আল্লাহর রহমতে একটা ভালো পর্যায়ে আছি।’

Advertisement

এ অবস্থা থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে আরো এগিয়ে নিতে পারতেন বলে উল্লেখ করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোভিড এবং ইউক্রেনের বৈশ্বিক সমস্যাটা যদি তৈরি না হতো। তখন আর্থিক অবস্থার ওপর চাপ কম পড়তো। আমরা আমাদের বাজেটও বেশি পেতাম। পাশাপাশি কাজ করার সুযোগও আমাদের বেশি হতো। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা নিজেরাই অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল করেছি, ইন্টার ইউনিভার্সিটি গেমস করেছি। এই বছর থেকে আমরা ইন্টার কলেজ শুরু করছি। আমরা বাংলাদেশ গেমস করেছি। শেখ কামাল যুব গেমস চলছে। সবকিছুর মধ্যেও আমাদের স্পোর্টস কিন্তু থেমে নেই। সকল কিছুই আমরা করে যাচ্ছি।’

তারপরও কিছু জিনিস না করার আক্ষেপও থাকছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর, ‘অবশ্যই আমাদের একটা আক্ষেপ থাকেই। মানুষের তৃপ্তির তো শেষ নেই। মানুষের চাওয়ার শেষ নেই, মানুষের পাওয়ারও শেষ নেই। অবশ্যই আমাদের ইচ্ছা আছে ক্রীড়াঙ্গনকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। যে সমস্যাগুলো আছে, ফেডারেশনগুলো যদি আমাদের আরো সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে, তাহলে অবশ্যই আমাদের যে ইচ্ছাগুলো রয়েছে, যে পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবো বাকি সময়ের মধ্যে।’

বিদায়ী বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় সফলতা ছিল মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। ২০২৩ সালে এমন কোন চাওয়া আছে কি না জানতে চাইলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমাদের অনেক বড় একটি অর্জন ছিল নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় এবং তাদেরকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়া। এ ঘটনা বাংলাদেশে একটি আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। দেশের যেখানেই যাই, সেখানেই কিন্তু এ কথাটা বলে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি দুইদিন আগে জাতীয় সংসদে যে ভাষণ দিয়েছেন, সেখানেও তিনি নারীদের চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে হাইলাইটস করেছেন। আমরা অবশ্যই আশা করি, সরকারের শেষ বছরে ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে আমরা ভালো একটা রেজাল্ট পাবো। যেটা সরকারের পাঁচ বছর পূর্তিতে একটা ভালো খবর ইনশাল্লাহ আপনাদের দিতে পারবো।’

সেই অর্জনটা কোন ডিসিপ্লিনে আসতে পারে সে প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘এ বছর আমাদের সাফ রয়েছে। ফুটবল আছে, ক্রিকেট আছে। এশিয়ান গেমস রয়েছে, সাউথ এশিয়ান গেমস রয়েছে। সামগ্রিকভাবে আমরা আশা করছি, আমাদের ফেডারেশনগুলোর সার্বিক সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে শেষ বছরে ভালো কিছু আশা করছি।’

Advertisement

আরআই/আইএইচএস/