মাংস বিক্রি, জবাইখানা ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য এখন থেকে অনুমতিপত্র (লাইসেন্স) নিতে হবে। এজন্য এককালীন সর্বনিম্ন ফি ১৫ হাজার টাকা, আর সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা।
Advertisement
সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেছেন, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মাংস বা মাংসজাত পণ্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রতি সপ্তাহে এক টনের নিচে হলে আবেদন ফি এক হাজার, অনুমতিপত্রের ফি ১৫ হাজার ও নবায়ন ফি দেড় হাজার টাকা দিতে হবে। এক টনের বেশি, কিন্তু আট টনের নিচে হলে আবেদন ফি দুই হাজার, অনুমতিপত্রের ফি ২৫ হাজার ও নবায়ন ফি সাড়ে সাত হাজার টাকা লাগবে। আর আট টন বা তার বেশি হলে আবেদন ফি তিন হাজার, অনুমতিপত্রের ফি ৭০ হাজার ও নবায়ন ফি দিতে হবে ১৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: গরুর মাংসে যত বিপদ
Advertisement
পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১-এর ধারা ৯ এবং পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১-এর বিধি ১৩ (১) মোতাবেক জবাইখানা বা মাংস বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন বা মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পশুচিকিৎসক না হলে জেলা পশুচিকিৎসা কর্মকর্তা নিবন্ধনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন।
গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোয় মাংস বিক্রেতারা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণত নিবন্ধন করেন না। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় যারা মাংস বিক্রি করেন, তারা করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: দিনে কতটুকু গরু বা খাসির মাংস খাওয়া নিরাপদ?
এখন থেকে সবাইকে আসতে হবে নিবন্ধনের আওতায়।
Advertisement
আইএইচআর/এমএইচআর/জেআইএম