তার এক কথায় রীতিমত আগুন ধরে গিয়েছিল ফরাসি ফুটবলে। জিনেদিন জিদানের মতো কিংবদন্তিকে অপমান, কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি দেশের ফুটবল সমর্থক, খেলোয়াড়, বোদ্ধারা। ভীষণ সমালোচিত হন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লে গ্রায়েত।
Advertisement
অবশেষে ক্ষমা চাইলেন লে গ্রায়েত। বললেন, ‘যা হয়েছে আসলে ভুল বোঝাবুঝি। আমি এর জন্য ক্ষমা চাই। কারণ তাকে একজন খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে আমি যতটা মূল্যায়ন করি, কথায় তার প্রতিফলন দেখা যায়নি।’
দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি না করলে জিদান ফ্রান্সের নতুন কোচ হতে পারেন, এমন গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে। তবে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন শনিবার দেশমের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে। এই কোচ ইস্যুতে ফেডারেশনের প্রধান লে গ্রায়েতের অযাচিত মন্তব্যেই মূলত তৈরি হয় বিতর্ক।
বলতে গেলে একক নৈপুণ্যে ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতান জিদান, ২০০০ সালে জেতেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। জিদানকে মনে করা হয় ফরাসি ফুটবলের কিংবদন্তি।
Advertisement
তাকে নিয়ে লে গ্রায়েত বলেছিলেন, ‘জিদান ব্রাজিলের কোচ হবেন? তিনি যা খুশি, করতে পারেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি কখনও তার সঙ্গে দেখা করিনি। আমরা কখনও দেশমের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ভাবিনি। তিনি যেখানে চান, যে ক্লাবে ইচ্ছে যেতে পারেন। জিদান কি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন? অবশ্যই না। উনি ফোন করলে আমি ধরতামও না।’
ফরাসি ফুটবল প্রধানের এমন মন্তব্যকে ভালোভাবে নেননি কেউ। সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, ‘জিদান মানেই ফ্রান্স। তার মতো একজন কিংবদন্তিকে কিছুতেই এভাবে অসম্মান করা যায় না।’
ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী আমেলি ওদিয়া কাস্তেরা আরও একধাপ এগিয়ে জিদানের কাছে গ্রায়েতকে ক্ষমা চাইতে বলেন। প্রবল সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন লে গ্রায়েত।
এমএমআর/জিকেএস
Advertisement