বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক ও ইতিবাচকভাবে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
Advertisement
বাংলাদেশে কয়েকজন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার সফরের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ড. মোমেন বলেন, আমরা খুবই খুশি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক যোগাযোগ বাড়ছে। আমরা খুবই খুশি যে, তারা (মার্কিন কর্মকর্তারা) এদেশে আসছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের মাতব্বরি দরকার নেই
Advertisement
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা (বিশেষ সহকারী) এবং হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লোবাচার চারদিনের সফরে গত শনিবার ঢাকায় আসেন। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মতো অভিন্ন মূল্যবোধ ও আদর্শে বিশ্বাসী। এ কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় ঢাকা।
আরও পড়ুন: মিডিয়া পাত্তা না দিলে বিদেশিরা ঘরে বসে ‘হুক্কা’ খাবে
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুমুখী সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং দেশ দুটি শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, জলবায়ু ইস্যু ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে একসঙ্গে কাজ করছে।
Advertisement
ড. মোমেন আরও বলেন, যখন কোনো বন্ধুরাষ্ট্র যথাযথ চ্যানেলে কোনো ইস্যু উত্থাপন করে বা কোনো ব্যাপারে পরামর্শ দেয়, তখন ঢাকা তার পক্ষ থেকে সেই শূন্যতা পূরণ বা দুর্বলতা ঘোচাতে সব সময়ই পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঢাকা কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চায় না
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কোথাও কোনো ঘাটতি থাকে, তারা আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানালে আমরা সমাধান করবো। আর এ ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক।
গত তিন বছরে বাংলাদেশে কোনো গুমের ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টিকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভালো বলেই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পরামর্শ দেয়
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, হাতের পাঁচ আঙুল সমান নয়। যদি কেউ কোনো সমস্যা করে আমরা সেটি অবশ্যই দেখি।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র্রের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, জনগণের কল্যাণই বর্তমান সরকারের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় রাখতেও নিরাপত্তা জরুরি।
সমুদ্রসীমা অধিকতর নিরাপদ রাখতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহয়তা করেছে বলেও জানান তিনি।
এমকেআর/এএসএম