আইন-আদালত

ঢাবির সাবেক শিক্ষকের গাড়িচাপায় নারী নিহত: প্রতিবেদন ১৩ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক সহকারী অধ্যাপক আজহার জাফরের গাড়িচাপায় রুবিনা আক্তার (৪০) নামের এক নারী নিহতের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

সোমবার (৯ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন>>> নারীকে টেনে নেওয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ঢাবির চাকরিচ্যুত শিক্ষক

জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় ওই শিক্ষকের প্রাইভেটকার একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহী রুবিনা আক্তার। তিনি প্রাইভেটকারের নিচেই আটকে পড়েন। ওই অবস্থায় চালক গাড়ি না থামিয়ে বেপরোয়া গতিতে টিএসসি দিয়ে নীলক্ষেত এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে উপস্থিত জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলেও চালক গাড়ি থামাননি। পরে নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে আটকে যায় গাড়িটি।

Advertisement

আরও পড়ুন>>>মামলার অগ্রগতি বিষয়ে এখনো কিছু জানে না পরিবার

সেসময় চালককে গণপিটুনি দেয় উপস্থিত জনতা। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে আহত নারী ও গাড়িচালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে ওই নারী মারা যান। আর গাড়িচালক ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গাড়িচালক আজহার জাফর ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৮ সালে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গাড়িচাপার এ ঘটনার একদিন পর নিহত রুবিনা আক্তারের (৪৫) ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন>>>এটি দুর্ঘটনা নয়, শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তিতে সহায়তা করবে পুলিশ

প্রায় একমাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১ জানুয়ারি মামলার আসামি জাফরকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাফর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জেএ/এমআইএইচএস/জেআইএম