বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার (৮ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
Advertisement
হিরো আলম এ বিষয়ে জাগো নিউজকে বলেন, হিরো আলমরা কখনো হতাশ হয় না। তারা জীবনটা মানুষের জন্য উৎসর্গ করে। মানুষ তাদের অনেক ভালোবাসে। তাদের সঙ্গে সবসময় থাকে।
তিনি আরও বলেন, আজ রাতে বগুড়া থেকে ঢাকা রওয়ানা দেবো। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিসে যাব। কাগজ জমা দেবো। এতে যদি কাজ না হয় হাইকোর্টে যাব প্রার্থিতা ফিরে পেতে। এলাকার মানুষ তো আমাকে নির্বাচনে দাঁড়াতে উৎসাহ দিয়েছে। তারা কথা দিয়েছে এবার আমাকে ভোট দেবে।
এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: বগুড়ার দুই আসনেই হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
উল্লেখ্য, বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হিরো আলম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আলোচিত হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র তোলেন। ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে।
আরও পড়ুন: দীপিকার নায়ক হতে চান হিরো আলম
Advertisement
মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে অবশ্য তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।
এমআই/এমএমএফ/জেআইএম