আন্তর্জাতিক

বিদেশফেরত যাত্রীদের ওপর আরোপ করা বিধিনিষেধ তুলে নিলো চীন

অভ্যন্তরীণ বা বিদেশফেরত ভ্রমণকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন তুলে নিয়েছে চীন। রোববার (৮ জানুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে দেশটিতে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে প্রায় তিন বছর ধরে চলে আসা বিধিনিষেধের অবসান ঘটলো।

Advertisement

এরই মধ্যে রোববার মধ্যরাতে নতুন নিয়মের অধীনে প্রথম যাত্রীরা চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজু ও শেনজেনের বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। 

সিঙ্গাপুর ও কানাডার টরন্টো থেকে আসা ৩৮৭ জন যাত্রীকে এদিন স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হয়নি। থাকতে হয়নি পাঁচদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে।

এদিকে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে করোনাসংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকেই চীনে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দেয়।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা চীনা সরকারের ‘জিরো কোভিড’ নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ব্যাপক আন্দোলনের ফলে বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাধ্য হয় শি জিনপিং প্রশাসন।

জিরো কোভিড নীতির আওতায় বিদেশফেরত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ও দেশের ভেতরের মানুষদের কঠোর লকডাউন কার্যকর করত চীনা কর্তৃপক্ষ।

কঠোর ওই নীতি বাতিলের সময় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন নির্দেশনায় বলে, যদি এখন থেকে কেউ করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে তাকে সরকার নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে হবে না। বরং আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ি কিংবা পরিবারের কাছে থাকতে পারবেন। এমনকি, বাড়িতে বসেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে পারবেন। 

এর আগে দেশটিতে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তাকে জোর করে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতেন সরকারি কর্মকর্তারা। এমনকি, গত বছরের নভেম্বরেও একজনকে জোর করে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

Advertisement

তাছাড়া আগে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত- এমন জায়গাগুলোতে যেতে কিংবা একসঙ্গে অনেকে জড় হতে গেলে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হতো। তবে বর্তমানে শুধু হাসপাতাল ও স্কুলে যাওয়ার জন্য পিসিআর পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতা রেখেছে চীন সরকার।

এদিকে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কিংবা বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বাতিল করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশটির বহু মানুষ।

এদিকে চীন থেকে আসা যাত্রীদের ওপর নতুনি বিধিনিষেধ জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। বেইজিংয়ের দাবি, বাইডেন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সূত্র: আল-জাজিরা

এসএএইচ