আন্তর্জাতিক

১৩ বছর বয়সী ছাত্রীকে প্রেমপত্র লিখে পাঠালেন ৪৭ বছরের শিক্ষক!

কথায় আছে প্রেম-ভালোবাসা কোনো বয়স মানে না। প্রেমের টানে ২০ বছরের তরুণী ধরা দেয় ৬০ বছরের বৃদ্ধের কাছে, আবার ২০ বছরের তরুণও ধরা দেয় ৫০ বছরের নারীর কাছে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। তবে সে ঘটনার জের গড়িয়েছে বেশ ‍দূরে।

Advertisement

জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের কনৌজ পৌরসভার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমে পড়েন ৪৭ বছরের এক শিক্ষক। এমনকি, ১৩ বছরের ওই ছাত্রীকে প্রেমপত্র লিখেও পাঠান তিনি। আর তাতেই বাধে যত বিপত্তি। পিতৃতুল্য শিক্ষকের কাছ থেকে এমন চিঠি পেয়ে পরিবারকে জানিয়ে দেয় ওই ছাত্রী।

সব জানতে পেরে কনৌজ কতোয়ালি থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রেমপত্রে ছাত্রীর নাম উল্লেখ করে শিক্ষক লেখেন, তোমাকে অসম্ভব ভালবাসি আমি। লম্বা ছুটির সময় আমি তোমার অভাব বোধ করবো। তাই স্কুল যখন ছুটি থাকবে, তখন তুমি আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রেখো। করো।

Advertisement

তিনি আরও লেখেন, যদি তুমিও আমাকে ভালবাসো, তাহলে ছুটির আগে একটিবার দেখা করো। আর চিঠিটি পড়ার পর ছিঁড়ে ফেলো।

ওই ছাত্রী ঘটনাটি গোপন করার বদলে চিঠিটি মা-বাবার হাতে তুলে দেয়। সেটি পড়ে শিক্ষকের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। তারা ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও এ কাজের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন।

অন্যদিকে ছাত্রীর পরিবারের কথা পাত্তা না দিয়ে, উল্টো ছাত্রীকে গুম করার হুমকি দিতে থাকেন ওই শিক্ষক। এরপরই মূলত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার।

স্থানীয় পুলিশ সুপার (এসপি) কানওয়ার সিং অনুপম জানান, ছাত্রীর বাবার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় নড়চড়ে বসেছে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর। স্কুল শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৌস্তভ সিংহ বলেন, এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

এসএএইচ