দেশজুড়ে

দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

দেশে ১৪টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের তালিকায় যৌথভাবে ৬ নম্বরে আছে উত্তরের দুই জেলা দিনাজপুর ও পাবনা।

Advertisement

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আর দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের গতি ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।

এদিকে, দুপুরের পরে রোদ উঠলেও তা শীতের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। শীতের কারণে দিনাজপুরের রাস্তাঘাট এবং বাজারে লোকজন ও যানবাহন কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। দুপুরের পর রাস্তাঘাটে কিছু মানুষ দেখা গেলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত তা প্রায় ফাঁকা ছিল। বিকেলে পুরাতন কাপড়ের বাজারে ভিড় দেখা গেছে।

Advertisement

সদর উপজেলার চেরাডাঙ্গী এলাকার ৭০ বছর বয়সী মজিবর রহমান বলেন, ‘মর জীবনত মুই এইকম (এরকম) জাড় (শীত) দখনি (দেখিনি)। হাত-পাওগুলা খালি ঠাটাছে। গুদুড়িগুলা (কাঁথা) আপেনে ঠান্ডা হই যাছে। গায়ত দিলে মনে হচ্ছে কেহ পানি ঢালি দিছে।

আলমিনা আকতার মনি নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি আজকে কাচারি বাজারে এসেছি। বাজারে অনেক ভিড়। সবাই শীতের পোশাক কিনতে এসেছে। আমি নিজেও কিনেছি। তবে অন্য জিনিসের তুলনায় শীতের কাপড়ের দাম বাড়েনি।

মাঝাডাঙ্গা এলাকার আলু চাষি খায়রুল ইসলাম বলেন, শীত বেশি হওয়ায় প্রতিদিন আলুর গাছে ভিটামিন ছিটাতে হচ্ছে। এতে করে আলু চাষে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যদি আলুর দাম না পাওয়া যায় তাহলে তো পথে বসতে হবে।

পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, চার বছর পর এবার একটু কেনাবেচা হচ্ছে। পুরাতন কাপড়ের বাজারে মানুষ আসছে। এবার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা পোষাতে পারবে।

Advertisement

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী মো. আসাদুজ্জামান জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি (রোববার) দিনাজপুরের তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ৩ জানুয়ারি ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি, ৪ জানুয়ারি ১২ ডিগ্রি, ৫ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ৬ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং শনিবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এমদাদুল হক মিলন/এমআরআর/এএসএম