বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করার পর নানান জটিলতায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়নি পচনশীল ২২০ কনটেইনার পণ্য। এসব কনটেইনারে রয়েছে কমলা, আদা, মহিষের মাংস, মাছসহ নানান পণ্য। সেগুলো ধ্বংসের পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
Advertisement
ধারণা করা হচ্ছে, এসব পণ্য এরই মধ্যে কনটেইনারেই পচে গেছে। দীর্ঘদিন খালাস না নেওয়ার পর বেশ কয়েকবার নিলাম ডেকেও গ্রাহক মেলেনি। অনেকগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এসব পণ্য মাটিচাপার মাধ্যমে ধ্বংস প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ধ্বংসযোগ্য চালানগুলোর বিপরীতে আমদানিকারকের কোনো মামলা, আপত্তি বা নিষেধাজ্ঞা আছে কি না তা খতিয়ে দেখে আগামী সাতদিনের মধ্যে জানাতে ৩ জানুয়ারি চিঠি দিয়েছে কাস্টমস। এ নিয়ে ৮ জানুয়ারি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় কখন, কীভাবে এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে, তার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে এসব পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হবে।
কাস্টমস সূত্র আরও জানিয়েছে, ২২০ কনটেইনার পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করার জন্য হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা ডাম্পিংয়ের স্থান হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর আগে একই জায়গায় একাধিকবার পণ্য ধ্বংস করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। মোট আটটি সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে।
Advertisement
কাস্টমস সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ একর জায়গায় ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন, এক্সকেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলে মাটিচাপা দেওয়া হবে। এর ফলে কোনো দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচিত জায়গাটি লোকালয় থেকে দূরে হওয়ায় সাধারণ মানুষের কোনো সমস্যাও হবে না।
ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/এএসএম