যেসব অ-মুক্তিযোদ্ধা এতদিন ভাতা গ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারলেও তাদের ভাতা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া যেসব অ-মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদরাসার ৯ম আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, এর আগে রাজাকারদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে আইনগত বৈধতা ছিল না। বর্তমান পার্লামেন্টে এই আইন পাস হয়েছে। রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।
বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন আপিলের কাজ চলছে। উপজেলা কমিটির কাছে কেউ যদি সুবিচার না পায় তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
Advertisement
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৭ শতাধিক গণকবর শনাক্ত করে তা সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চলছে। কোনো গণকবর যদি বাদ পড়ে সেগুলো নজরে আনলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামে বিভিন্ন সংগঠনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব সংগঠনের কোনো স্বীকৃতি নেই। যে যা করছে নিজ উদ্যোগে করছে। এগুলোতে সরকারের কোনো অনুমোদন নেই। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকেও কোনো অনুমোদন নেই।
সম্মেলনে অতিথি ছিলেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আলহাজ্ব মো. মাহবুব হোসেন, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ, দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া, দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম, অ্যাডভোকেট এম. শাহজাহান সাজু। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধলাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/এএসএম
Advertisement