২০২২ সালে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর ২০২৩ সালে কমতে পারে ধাতুর দাম। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইউ) ধাতব মূল্য সূচক এ বছর সাত শতাংশ নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এরপরও সেটি হবে প্রাক-মহামারি সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
Advertisement
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক অনটনের কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে হীরা ও সোনার চাহিদা। তবে চীনের বাড়তি ব্যয় নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে প্রয়োজনীয় ধাতুর চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সাহায্য করবে। উত্তর আমেরিকায় ইস্পাত ব্যবহারের পরিমাণ আট বছরের সর্বোচ্চ হবে।
আশঙ্কার কথা, চীন ও ইউরোপে জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং বিদ্যুৎ সংকট অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত, দস্তাসহ বিভিন্ন ধাতুর উত্পাদন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি স্ক্র্যাপ-ধাতু রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে সরকারগুলোকে প্ররোচিত করবে।
এ বছর ইউক্রেন ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সীমিত করতে একীভূত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে নরনিকেল ও রুসালের মতো রুশ ধাতু সরবরাহকারীরা।
Advertisement
নতুন বছরে সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তর এবং ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে তামাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বাড়বে। লিথিয়াম, নিকেল ও বিরল খনিজগুলোর ব্যবহার বাড়িয়ে দেবে বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাড়তি চাহিদা।
শিগগির অস্ট্রেলীয় মাইনিং কোম্পানি আমেরিকান রেয়ার আর্থস যুক্তরাষ্ট্রের হ্যালেক ক্রিক সাইটের ফলাফল প্রকাশ করতে চলেছে। সেখানে ব্যাটারি শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭টি বিরল খনিজের ১০০ কোটি টন মজুত খুঁজে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে৷
চীন-রাশিয়াতে আরও বিরল খনিজ পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলো এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে।
কেএএ/
Advertisement