মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ২০২২ সালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে ২০০ নতুন গ্রহ বা এক্সোপ্লানেট আবিষ্কার করেছেন। বিষয়টিকে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বড় ধরনের মাইলফলক বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি একটি প্রতিবেদনে বলে, গত বছরের শুরুতে সৌরজগতের বাইরে আবিষ্কৃত গ্রহের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের কম। কিন্তু বছরের শেষে বিজ্ঞানীরা ৫ হাজার ২৩৫টি গ্রহ আবিষ্কা করেন।
নাসার এক টুইটে বলা হয়, ২০২২ সালের শুরুতে আমরা পাঁচ হাজারের কম গ্রহকে শনাক্ত করতে পেরেছিলাম। কিন্তু বছর শেষে তা ৫ হাজার ২৩৫টিতে দাঁড়ায়।
‘এসব গ্রহের মধ্যে ৪ শতাংশ পৃথিবী ও মঙ্গলের মতো পাথুরে। নতুন বছরে আমরা কী পাব? আমাদের আশা, আরও বেশি গ্রহের খোঁজ পাবো।’
Advertisement
বিজ্ঞানীদের মতে, এক্সোপ্লানেটগুলোর গঠন ও বৈশিষ্ট্য আলাদা হতে পারে। এগুলো মধ্যে কয়েকটি পৃথিবীর মতো পাথুরে ও আকারে ছোট।
২০২২ সালে সর্বশেষ আবিষ্কৃত গ্রহটির নাম এইচডি ১০৯৮৩৩ বি। এটি নেপচুনের মতো গ্রহ, যা তার নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তন করছে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি গবেষকরা আরও দুটি পানিসমৃদ্ধ গ্রহ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন। তবে এসব গ্রহে সরাসরি পানি আবিষ্কৃত হয়নি। এগুলোর গঠন বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব গ্রহে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পানি থাকতে পারে।
এক্সোপ্লানেট আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। ২০২২ সালের জুলাই মাসে কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই টেলিস্কোপটি একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পর মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ এটি। তবে হাবল টেলিস্কোপটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। এটি থেকেও নতুন নতুন তথ্য মিলছে।
জানা যায়, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ তৈরিতে নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে। পৃথিবী থেকে ১০ লাখ মাইল দূরে অবস্থিত এ টেলিস্কোপ ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা এ টেলিস্কোপের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের রঙিন ছবি প্রকাশ করেন। এরপর টেলিস্কোপটি আকাশগঙ্গা ছায়াপথের দূরতম স্থানে পৃথিবীসদৃশ একটি গ্রহে পানি থাকার চিহ্নও শনাক্ত করে সবাইকে চমকে দেয়।
তাছাড়া, বৃহস্পতি গ্রহের অভূতপূর্ব ছবি দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় এটি। মহাশূন্যে এ টেলিস্কোপ পাঠানোর উদ্দেশ্যে হলো, নক্ষত্রের জীবনচক্র ও সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলো নিয়ে গবেষণা করা।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ