মৌলভীবাজারে কুয়াশা কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের লোকজন। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের চা বাগান এলাকার চা শ্রমিক ও হয়হয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি ) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন স্থানে চলছে শীতের দাপট। প্রচণ্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে আজ বেশি শীত অনুভূত হলেও কুয়াশার ঘনত্বও অনেকটা কমেছে।
তীব্র শীতে চা-শ্রমিক, হাওড়াঞ্চলের জেলে, কৃষক ও শ্রমজীবী লোকজন বিপাকে রয়েছেন। শীত উপেক্ষা করেই তাদের খুব সকালে কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। এছাড়া সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও পড়েছেন শীতের কবলে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পর্যটকরা হোটেল বা রিসোর্টের কক্ষেই বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন। বয়স্ক পর্যটকরা শীতের কারণে চলে গেছেন।
Advertisement
এদিকে, জেলার শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের ব্যানারে গত কয়েক দিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি সেলিম আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, শীতে কাবু পর্যটকরা তেমন বাইরে যাচ্ছেন না। বয়স্ক পর্যটকরা রিসোর্ট-হোটেল-মোটেল ছেড়ে চলে গেছেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সত্য নাইডু জাগো নিউজকে বলেন, চা-শ্রমিকদের কনকনে শীত উপেক্ষা করে কাজে যেতে হচ্ছে। শীত নিবারণের জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ করেননি। তাদের ঠান্ডাজনিত রোগবালাই লেগেই আছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে আজ ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত চারদিন ধরে আট থেকে ৯ ডিগ্রির মধ্য তাপমাত্রা ওঠানামা করেছে। তবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা একটু কম অনুভূত হচ্ছে।
Advertisement
আব্দুল আজিজ/এমআরআর/এএসএম