কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শপিংমল, হাট-বাজার ও ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা।
Advertisement
সরেজমিন দেখা গেছে, ফুটপাত ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব দোকানে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, মাফলার ও নতুন ডিজাইনের কানটুপি, মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাতমোজা, জাম্পার, সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জি, কমফোর্টার ও কম্বলের দোকানের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
ক্রেতারা বলছেন, শীতের শুরুতে কেনা পোশাক তীব্র শীতে কোনো কাজে লাগছে না। তাই তারা আবার গরম কাপড় কিনতে ছুটছেন। এ সুযোগে বিক্রেতারাও দাম হাঁকাচ্ছেন কয়েকগুণ বেশি। দু-তিন সপ্তাহ আগেও যে পোশাক ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা।
Advertisement
ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটের ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড়ের ক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য শীতের জামা কিনতে এসেছি। তবে চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা দাম বেশি নিচ্ছেন। ১৫ দিন আগে যে পোশাক ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ তার দাম এক হাজার টাকা হাঁকাচ্ছেন। পরে বেশি দাম দিয়ে ৮০০ টাকায় কিনতে হলো।’ শীতবস্ত্র কিনতে আসা ক্রেতা সাবিকুন নাহার বলেন, শীতের প্রথম দিকে কেনা ‘ফ্যাশনাবল পোশাকে’ চলমান শীত মানছে না। ভারি ও শীতসহনীয় গরম কাপড় লাগবে। পরিবারের সবার জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছি।’ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত কয়েকদিনে বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের পোশাকের বিক্রিও অনেকটা বেড়ে গেছে । তার দোকানে শুধু বাচ্চাদের পোশাকই বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ হাজার টাকার।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতবস্ত্রের চাহিদার পাশাপাশি বিক্রিও বেড়েছে বলে জানান মুড়াপাড়া বাজারের বিক্রেতা আলী আকবর।
তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মোকাম থেকে আমাদের এসব শীতবস্ত্র কিনে আনতে হয়। আগের তুলনায় এখন একটু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটের ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল ভুইয়া জাগো নিউজকে বলেন, প্রথম দিকে তেমন বেচাকেনা ছিল না। তবে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড়ের বিক্রি অনেকটা বেড়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটের বিপণিবিতানগুলোতে বেশি মূল্য রেখে ক্রেতা ঠকানোর কোনো সুযোগ নেই। এখানে মার্কেট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে।
এসআর/এএসএম