ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের ভোগান্তিতে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
Advertisement
সোমবার (২ জানুয়ারি) রাত থেকেই কুয়াশায় ঢেকে যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা। ঘন কুয়াশায় বুধবার (৪ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। এর সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া কাঁটা দিয়েছে জেলাবাসীর শরীরে।
তবে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে সাত সকালেই বের হন শ্রমজীবী মানুষেরা। ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে বিঘ্নিত হয়েছে যানবাহন চলাচল।
আজ সকাল ৯টায় জেলায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Advertisement
সকাল থেকে শহরে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। আবার বিকেল গড়াতেই ফাঁকা হতে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
পৌর শহরের স্কুলমোড় এলাকার রিকশাচালক আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত কয়দিন ধরে যে ঠান্ডা পড়ছে তাতে রিকশা চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ার বাসিন্দা শাওন জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত বেশ কুয়াশা ছিল। পরে কুয়াশাভাব কিছুটা কমলেও দুপুর ১টার পর থেকে আবারও কুয়াশা দেখা যায়। ভোর থেকে সূর্যের দেখাও মেলেনি।
দামুড়হুদা উপজেলার জয়লালসহ একাধিক সবজি ব্যবসায়ী জানান, সকাল থেকেই রোদ নেই। অল্প কয়েকজন ক্রেতা হাটে এসেছেন। সকাল সকাল বাজার করে চলে গেছেন।
Advertisement
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভোরের দিকে ফোটা ফোটা কুয়াশা পড়েছে। এ সময় বৃষ্টি আর কুয়াশা বেশি হলে শস্যে আসা ফুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ধানের জন্য বীজতলা করেছি। ভোরে এসে বড় লাঠি দিয়ে ধানের চারার ওপর জমে থাকা কুয়াশা ফেলে দিতে হচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও কয়েকদিন আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ও ঘোলাটে থাকতে পারে। এমন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় সতর্কতার সঙ্গে যানচলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম হাসান বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘনকুয়াশা ও উত্তর থেকে আসা হিমেল বাতাসের কারণে এ জেলায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।’
এসআর/জিকেএস