উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলার জনপদ। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কগুলোতে চলছে যানবাহন। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। নদীর তীরবর্তী অববাহিকায় বসবাস করা শিশু বৃদ্ধদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব।
Advertisement
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজার হাট আবহাওয়া ও পর্যবেক্ষণাগার অফিসের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেশিরভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। গত মাসের তুলনায় এ মাসে ১২-১৫ শতাংশ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে আসা গোলাপি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। দুদিন ধরে হাসপাতালে আছি। এখন মোটামুটি সুস্থ। হয়তো কালপরশু বাড়ি ফিরে যেতে পারবো।
Advertisement
আসমা বেগম বলেন, ‘বাচ্চাটার দুদিন ধরে জ্বর-সর্দি। তাই এখানে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসকের অপেক্ষায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে আছি।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন মো. মঞ্জুর ই মোর্শেদ জাগো নিউজকে বলেন, এখন শীতকাল। আবহাওয়া পরিবর্তনে জেলায় ১৫ শতাংশ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে কনকনে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও শ্রমজীবীরা। রিকশাচালক ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঠান্ডার মধ্যে রিকশা চালতে খুব অসুবিধা হয়। কিন্তু কি আর করবো, পেট তো বাঁচানো লাগবে।
কদমতলা গ্রামের দিনমজুর আসকর আলী বলেন, হামরা গরীব মানুষ। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটে না। এ ঠান্ডায় ধানক্ষেতে পানিতে নেমে কাজ করা লাগে। এত ঠান্ডা হয় যে হাত পা আছে কি-না বোঝাই যায় না।
Advertisement
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জাগো নিউজকে বলেন, সরকারিভাবে জেলার নয়টি উপজেলার জন্য বরাদ্দের ৩৮ হাজার ৭০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এছাড়া আমরা মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠিয়েছি। এরই মধ্যে জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি সংগঠনগুলো কম্বল বিতরণ করছে।
এসজে/জেআইএম