বাজারে যে কোনো খাদ্যপণ্য বাছাই ও কেনার সময় করণীয় বা বর্জনীয় সম্পর্কে ক্রেতা ও ভোক্তাদের ধারণা দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ফলমূল ও শাকসবজি কেনার ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, তাজা, মৌসুমি, পরিপক্ব ফলমূল ও শাকসবজি কিনতে হবে। ঝরঝরে, সতেজ, সবুজ অথবা রঙিন শাকসবজি বেশি ভালো। ফল কেনার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে তাজা, নিখুঁত ও পরিষ্কার কি না। সেক্ষেত্রে যথাসম্ভব রসালো ফল কিনতে বলা হয়েছে।
যা বর্জন করতে হবে: অতি পাকা, গলা, কালো দাগযুক্ত, থেতলানো ফল ও সবজি কেনা যাবে না। পোকাযুক্ত শুকনো বা বিবর্ণ, হলদেটে পাতাযুক্ত বা দুর্গন্ধময় এবং অমসৃণ শাকসবজি কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। সবুজ, অঙ্কুরিত এবং কুঁচকানো আলু বা কচুজাতীয় সবজি কেনা ঠিক নয়।
ডিম ক্রয়: পরিষ্কার ও নিখুঁত খোসাযুক্ত ডিম কিনতে হবে। বিবর্ণ ও নোংরা বা ময়লা খোসাযুক্ত ডিম, ভাঙা খোসাযুক্ত, রক্তের দাগ বা দুর্গন্ধযুক্ত অথবা পানিতে ভাসে এ ধরনের ডিম কেনা যাবে না।
Advertisement
মাছ, মাংস ও মুরগি: উজ্জ্বল এবং গোলাপি রঙের ফুলকাসহ অক্ষত মাছ কিনবেন। সেক্ষেত্রে পরিষ্কার চোখযুক্ত দেখতে হবে। এমন মাছ যা আঙুলের চাপে ডেবে যায় না সেটা দেখা নেবেন।
তবে নিস্তেজ, ডেবে যাওয়া চোখওয়ালা মাছ কিনবেন না। দুর্গন্ধযুক্ত, ফুলকা ধূসর অথবা সবুজ কিংবা এমন মাছ, যা আঙুলের চাপে ডেবে যায় সেগুলো ভালো নয়। মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেটজাত মাছ কেনা যাবে না।
মাংস ও মুরগি কেনার ক্ষেত্রে গোলাপি রং, কম হাড়সমৃদ্ধ ও চর্বিহীন মাংস ভালো। প্যাকেটজাত মাংস কেনার সময় ফ্রিজের তাপমাত্রা দেখা এবং মেয়াদের তারিখ যাচাই করে নিতে হবে।
তবে পচা, দুর্গন্ধযুক্ত, পিচ্ছিল, বিবর্ণ, ফ্যাকাশে মাংস কেনা যাবে না। অধিক হাড় ও চর্বিযুক্ত মাংস কেনা যাবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেটজাত মাংস খাওয়া যাবে না।
Advertisement
এনএইচ/এমকেআর/এএসএম