চাকরি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অর্জন করা অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, দক্ষতা নতুন পদে কাজে লাগিয়ে সরকারের প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে তাকে ২৪তম মন্ত্রিপরিষদ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এরপর দুপুরে সচিবালয়ে জ্বালানি বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মাহবুব হোসেন বলেন, আজ সকালেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটা আদেশ পেয়েছি, সেখানে আমাকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। সুদীর্ঘ চাকরি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, দক্ষতা অর্জন করেছি তা নতুন পদে কাজে লাগিয়ে সরকারের প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুন>>> নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন
নির্বাচনী বছর হিসেবে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করছেন- এমন বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমি কাল দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করবো, কী চ্যালেঞ্জ সামনে ফেইস করবো। কারণ আমি এখন পর্যন্ত জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব। সরকারের বৈশিষ্ট্য হলো আইন-বিধি নীতিমালা। সেটা যাতে ঠিকভাবে চলে। যে চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন সেটা পরিপূর্ণ দক্ষতা দিয়ে মোকাবিলা করবো। আমার তরফ থেকে এটুকু আমি বলতে পারি।
Advertisement
মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদটি সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র পজিশন। আমার প্রথম কাজটি হবে সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করা। এর মাধ্যমে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সবচেয়ে বড় শক্তি হবে এটি এবং সে কাজ করার ক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী।
মাহবুব হোসন আরও বলেন, আমি সেজন্যই বলেছি সমন্বয় করাটা হবে আমার মূল দায়িত্ব। সবার সঙ্গে সব মন্ত্রণালয়, সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা। আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হচ্ছে যেসব আইন, বিধি, নীতিমালা আছে সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করা। সেটা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারি সে দিকে নজরদারি রাখবো। ‘হয়তো ভালো কোনো জায়গায়ও আমাকে দেখতে পারেন’
এদিকে বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারও সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কবির বিন আনোয়ার বলেন, আজ আমার সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এটা রুটিনমাফিক পদ্ধতি। এক্সটেনশন হওয়াটা একটা প্রিভিলেইজের বিষয়। এখন যেটা হয়েছে এটাই স্বাভাবিক ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা বুঝেশুনে নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তের প্রতি আমার সম্মান আছে। তবে, পরে হয়তো অন্য কোনো ভালো জায়গায়ও আমাকে দেখতে পারেন।
Advertisement
আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস