বিদায় নিলো ২০২২ সাল। বছরটিতে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ভ্রমণ-পর্যটনের মতো কিছু শিল্প যেমন দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তেমনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে নতুন করে সংকটে পড়েছিল জ্বালানি-অর্থনীতির মতো বেশ কিছু খাত। দেশে দেশে রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল জীবনযাত্রার ব্যয়। চিন্তার বিষয় হলো, কিছু ক্ষেত্রে এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে ২০২৩ সালেও।
Advertisement
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, নতুন বছরে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ভার খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই সমান ক্ষতি করতে পারে। এমনকি ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধিও ঝিমিয়ে পড়তে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে। সেখানে ভোক্তাদের খরচ বাঁচানোর চেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধিতে খুচরা বিক্রেতাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন>> ২০২৩ সালেই ৫৭ শতাংশ বিজ্ঞাপন অনলাইনে
বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন-শপিং বাজার চীনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই পশ্চিমা ভোক্তাদের প্রলুব্ধ করার জন্য আলিবাবা-পিনডুওডুওর মতো চীনা ই-কমার্স জায়ান্টরা দাম কমানোর পথে হাঁটবে।
Advertisement
ছোট পারিবারিক ব্যবসাগুলো ডিজিটালাইজড হওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকায় ই-কমার্স আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে৷ ২০২৩ সালে অ্যামাজন যে পাঁচটি বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছে তার মধ্যে কলম্বিয়া, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো তিনটি উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে।
আরও পড়ুন>> পকেট বাঁচাতে বিকল্প খাবারে ঝুঁকবে মানুষ
নতুন বছরে অনলাইনে খুচরা পণ্য বিক্রির প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হবে। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী খুচরা বিক্রির মাত্র ১৪ শতাংশ হতে পারে অনলাইনে, যা ২০২২ সালের তুলনায় নামমাত্র বেশি।
এ বছর অনলাইন ও অফলাইন বিক্রি আরও বেশি একীভূত হবে। ধনী দেশগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে ‘ক্লিক-অ্যান্ড-কালেক্ট’ পদ্ধতি। এ থেকে যুক্তরাজ্যের আয় দাঁড়াতে পারে ১ হাজার ১৯০ কোটি ইউরো (১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যা ২০১৩ সালের তুলনায় তিনগুণ বেশি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> নতুন বছরে কেমন হবে ব্যবসা পরিস্থিতি?
গুদাম এবং অন্যান্য ব্যাক-এন্ড কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়করণের মাধ্যমে শ্রমব্যয় কমাবে খুচরা বিক্রেতারা। যেমন- নতুন ডিস্ট্রিবিউশন হাব অস্ট্রেলিয়ায় পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ২০০টি রোবট নিযুক্ত করতে চলেছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চেইন মায়ার। রোবটগুলো কোম্পানিটির ৭০ শতাংশ অনলাইন অর্ডার সামলাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফ্যাশন ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলো মেটাভার্সে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করবে এ বছর। ১৯৯৭ সালের পরে জন্ম নেওয়া, অর্থাৎ জেনারেশন জেড’র এক-চতুর্থাংশ মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা।
আরও পড়ুন>> চাকরি বাজারে বেশি চাহিদা থাকবে যাদের
কেএএ/