শিক্ষা

প্রাথমিকে বৃত্তি পাবে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী, ফল চলতি মাসেই

টানা ১৩ বছর পর প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর হয় এই পরীক্ষা। এতে ছয় লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাচ্ছে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী। ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

Advertisement

ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন। চলতি মাস, অর্থাৎ জানুয়ারিতেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির ক্ষেত্রে উপজেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে মোট বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে প্রদান করা হবে। সাধারণ গ্রেডে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক তিনজন ছাত্রী হিসেবে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বৃত্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে চারটি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর ছিল। বহু-নির্বাচনী এবং লিখিত- এই দুই পদ্ধতিতে উত্তর দিতে হয়েছে। এ জন্য সময় ছিল দুই ঘণ্টা। এরমধ্যে ৪০ শতাংশ লিখিত ও ৬০ শতাংশ এমসিকিউ ছিল।

Advertisement

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। প্রথমে শুধু সাধারণ ধারার শিক্ষায় এটি সীমাবদ্ধ ছিল। পরে মাদরাসার ইবতেদায়িতেও শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম শ্রেণির সমমান) পরীক্ষা চালু হয়। ২০১০ সালে শুরু হয় জেএসসি। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা চালুর পরই বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে বৃত্তি চালু করা হয়েছে। বৃত্তি নীতিমালা অনুযায়ী সারাদেশে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে বৃত্তি।

বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনায় একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, এই কমিটি সভা করে খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশের দিন-সময় নির্ধারণ করবে।

চলতি মাসের মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এমএইচএম/জেডএইচ/এএসএম