সমবয়সীদের সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করেন। এমন সম্পর্ক নাকি বেশিদিন টেকে না কিংবা অশান্তি বেশি হয় ইত্যাদি। তবে সমীক্ষা বলছে, সমবয়সী দম্পতিদের মধ্যেই নাকি প্রেমের সম্পর্ক বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এমনকি তাদের দাম্পত্য জীবনও হয় সুখের।
Advertisement
এর কারণ হলো, সমবয়সীরা প্রায় একসঙ্গে কিংবা একই আবহে বেড়ে ওঠেন। আর এ কারণে তাদের মধ্যকার বোঝাপড়া, চিন্তাভাবনা, ভালো লাগা বা খারাপ লাগার বিষয়গুলোও অনেকটা মিলে যায়।
আর এ কারণে সমবয়সীদের মধ্যকার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় ও সংসার জীবনেও তারা সুখে-শান্তিতে থাকতে পারেন। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞরা এর সঙ্গে অমতও প্রকাশ করেছেন।
কারও কারও মতে, সমবয়সীদের মধ্যে বিয়ে কিংবা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আবার নির্দিষ্ট বয়সের আগে বিয়ে করলেও সাংসারিক সমস্যাও বাড়তে পারে এমনকি অনেকে পড়ালেখাও শেষ করতে পারেন না।
Advertisement
তবে যেসব সময়বয়সীরা নিজেদের পড়ালেখা, ক্যারিয়ার ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করে একসময় সম্পর্কের পরিণয় ঘটান, মূলত তারাই সফল হতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সমবয়সীদের প্রেম কেন টেকে বেশি-
বোঝাপোড়া ভালো থাকে
সমবয়সীরা একে অন্যকে সহজেই বোঝেন। কারণ তাদের মধ্যে বয়সের ফারাক না থাকায় ভাবনা চিন্তা অনেকটা একই রকম হয়। এজন্য তারা একে অন্যের অনুভূতিগুলো ভালো বুঝতে পারেন। যা অসব বয়সী দম্পতিদের মধ্যে দেখা যায় না।
অশান্তি কম হয়
Advertisement
এমন দম্পতির মধ্যে ঝামেলা, ঝগড়া-বিবাদ হলেও দ্রুতই তা ঠিকঠাক হয়ে যায়। দীর্ঘদিন মান-অভিমানের পালা চলে না। কথা কাটাকাটি বা ঝগড়া সব সংসারেই হয়, তবে সমবয়সী দম্পতিদের মধ্যে এটি নিছকই মজা হিসেবে চলে আবার মিটমাটও হয়ে যায়।
সম্মান থাকে
সমবয়সী দম্পতিদের মধ্যে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান সব বজায় থাকে। একই সঙ্গে বাড়ে নির্ভরযোগ্যতাও।
ক্ষমা চাওয়ার প্রবণতা বেশি
ভুল করলে দুঃখিত বলার মানসিকতাও অন্যদের তুলনায় এমন দম্পতিদের মধ্যে বেশি। দোষ স্বীকারের মধ্যে সমবয়সীরা লজ্জাবোধ করেন না। তারা বোঝেন, দোষ স্বীকার করলে রাগ কমে ও ভালোবাসা বাড়ে অনেকটাই।
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হন
সমবয়সী দম্পতিরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হন বেশি। কারণ তাদের মধ্যে প্রেম কম, বন্ধুত্ব বেশি থাকে। ফলে ঝুঁকি নিতেও কিন্তু তারা ভয় পান না। ইচ্ছে হলেই দুঃসাহসিক অভিযান সেরে ফেলার মতো মানসিকতা থাকে তাদের মধ্যে।
চাহিদা, আশা ও স্বপ্ন একই থাকে
সবসময় এমন যুগল একে অন্যের পাশে থাকেন। অন্য দম্পতিরা যখন নিজেদের চাহিদা ভিন্নভাবে চিন্তা করেন; সমবয়সী যুগলদের মনে থাকে একই চাহিদা, আশা ও স্বপ্ন। এভাবেই তারা সফলভাবে ভবিষ্যতের পথে হাঁটেন।
চিন্তাভাবনা একই রকম হয়
শত সমস্যার মধ্যেও সমবয়সীরা সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। একসঙ্গে আড্ডা, নিজেদের পছন্দের খাবার বানানো, পছন্দের সিনেমা দেখা- সব মিলিয়ে একটা ইতিবাচকতার লক্ষণ থাকে।
সন্দেহ প্রবণতা কম থাকে
সমবয়সীদের মধ্যে সন্দেহ প্রবণতা কম। একে অপরের হাত শক্ত করে ধরেই অনায়াসে পেরিয়ে যান তারা কঠিন পথ। একে অন্যের আশ্রয় হয়েই তারা দীর্ঘজীবনের স্বপ্ন বুনেন।
সূত্র: দ্য কনভারসেশন
জেএমএস/এমএস