দেশের যুবাদের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর বাংলাদেশ যুব গেমস উপজেলা পর্যায়ের খেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে আজ (সোমবার)। ২০১৮ সালে সর্বশেষ হয়েছিল এই গেমস।
Advertisement
প্রতি দুই বছর অন্তর একবার বাংলাদেশ গেমস ও একবার বাংলাদেশ যুব গেমস আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে ২০১৮ সালে প্রথম আয়োজন হয়েছিল যুব গেমস। সে হিসেবে দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে। তবে করোনার কারণে দেশের দুটি বড় গেমসেরই শিডিউল ঠিক রাখা সম্ভব হয়নি। এ বছরের পরিবর্তে বাংলাদেশ যুব গেমসের দ্বিতীয় আসর শুরু হচ্ছে নতুন বছর ২০২৩ সালে।
এবারের আসরের নামকরণ করা হয়েছে শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমস। এবার আগের চেয়ে ডিসিপ্লিনও বেড়েছে। ২০১৮ সালে গেমস হয়েছিল ২১ ডিসিপ্লিন নিয়ে। এবার যোগ হয়েছে তিনটি। যোগ হওয়া তিন ডিসিপ্লিন হচ্ছে- সাইক্লিং, রাগবি ও জিমন্যাস্টিকস।
দ্বিতীয় আসরের ডিসিপ্লিনগুলো হচ্ছে-আরচারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, দাবা, ফুটবল, জিমন্যাস্টিকস, হ্যান্ডবল, হকি, জুডো, কাবাডি, কারাতে, রাগবি, শ্যুটিং, সাঁতার, স্কোয়াশ, সাইক্লিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ানডো, ভলিবল, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও উশু।
Advertisement
৪৯৫ উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার ক্রীড়াবিদ ৪২৯টি সোনার পদকের জন্য লড়বেন। সোনার পদক ছাড়াও রৌপ্য রয়েছে ৪২৯টি, ব্রোঞ্জ ৫৬১টি।
গেমসের খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ বয়স ১৭ বছর। ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারির পর যারা জন্ম নিয়েছেন, তারা গেমসে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
২ জানুয়ারি উপজেলা পর্যায়ের খেলা শুরু হয়ে চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। জেলা পর্যায়ের খেলা হবে ১৬ থেকে ২২ জানুয়ারি। চূড়ান্ত পর্ব হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ। চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
দেশে ৫৩ টি ফেডারেশন থাকলেও যুব গেমসে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ২৪টি। অর্ধেকেরও বেশি খেলা বাইরে রেখেই গেমস আয়োজন করছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। কারণ হিসেবে বিওএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসএ গেমসে পারফরম্যান্সের মানদণ্ড ধরে এবং যেসব খেলার উপজেলা পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা আছে সেগুলোকেই বিবেচনায় আনা হয়েছে।
Advertisement
আরআই/এমএমআর/জেআইএম