২০২০ ও ২০২১ সালে ঠিক যেমন সংবাদ মাধ্যমের অধিকাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছিল করোনা মহামারি। এই একবছরে একটি একক ঘটনা প্রাধান্য পেয়েছে সংবাদ কাভারেজে। কিন্তু ২০২২ সালে পাঠকরা কোভিড-১৯ এর পরিবর্তে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের দিকে বেশি মনোনিবেশ করেছেন।
Advertisement
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, একটি সংবাদ বিশ্লেষণী সংস্থা, চার্টবিটের তথ্য। ৩২টি সংবাদযোগ্য ঘটনার ৬৫ লাখ সংবাদের তথ্য তুলে ধরেছে তারা। এসব সংবাদ পড়তে ১০০ কোটি ঘন্টা ব্যয় করেছেন পাঠকরা। তন্মধ্যে যুদ্ধের খবর পড়তে মোট ২৭৮ মিলিয়ন ঘণ্টা ব্যয় করেছেন পাঠকরা যা ২০২১ সালে কোভিডের সমান সময়। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর দিন ব্যয় করেন ৬৪ মিলিয়ন ঘণ্টা। এটি ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর ঘটনা এবং অস্কারে উইল স্মিথের ক্রিস রককে চড় মারার সম্মিলিত প্রথম দিনের সময়কেও ছাড়িয়ে গেছে। পাঠকসংখ্যা গত মে মাস পর্যন্ত ধীরে ধীরে কমেছে এবং তারপর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ঘন্টা ব্যয় হয়েছে সংবাদ পড়তে। এই সময় সম্প্রতি আর্জেন্টিনার জেতা ফুটবল বিশ্বকাপের দৈনিক সংবাদ পাঠের সময়ের ঠিক ওপরে।
বিভিন্ন আমেরিকান রাজনৈতিক বিষয়গুলো পাঠকদের নজরে ছিল এবার। যদিও এটি ইংরেজি-ভাষিদের কারণে চার্টবিটের ক্লায়েন্টদের সংখ্যাকে প্রতিফলিত করতে পারে।
পাঠকের সময় ব্যয় করার র্যাংকিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের খবর পড়তে ব্যয় করেছে ১৪৫ মিলিয়ন ঘণ্টা এবং জো বাইডেনের সংবাদ পড়তে ব্যয় করেছে ১৩৭ মিলিয়ন ঘণ্টা। আশ্চর্যজনকভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প, এখন কেবল একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট, তার সংবাদ পড়তে ১০০ মিলিয়ন ঘণ্টা ব্যয় করেছেন পাঠকরা। ব্রিটেনের রাজনীতির গল্পের সম্মিলিত সময়ের সঙ্গে এটি মিলে যায়, যেখানে ৫০ দিনে তিনজন প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে।
Advertisement
আগের বছরের প্রধান বিষয় হিসাবে,পাঠকদের মধ্যে করোনা সংশ্লিষ্ট সংবাদ যেভাবে জায়গা করে নিয়েছিল একইভাবে ইউক্রেন যুদ্ধ এখন জায়গা করে নিয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারির শুরুতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংবাদ পড়তে পাঠকরা সময় ব্যয় করেছেন সবচেয়ে বেশি। ৬ জানুয়ারি পাঠকের সময় ব্যয় ৮ লাখ ঘণ্টায় পৌঁছায়।
তারপর থেকে আগ্রহ কমে গেছে অনেকটা। যদিও ২০২২ সালে কোভিডের জন্য দায়ী মৃতের সংখ্যা ২০২০ সালের মতোই। তবে এরপর যখন চীন সরকারের কঠোর লকডাউনের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে বিক্ষোভ শুরু হয় তখন করোনা মহামারি অল্প সময়ের জন্য পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
Advertisement
এসএনআর/জিকেএস